সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সদর উপজেলর কুতুকছড়ি আবাসিক স্কুল এলাকা থেকে অপহৃত দুই নারী নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে অবিলম্বে উদ্ধারের দাবিতে শনিবার দেশের প্রগতিশীল নারী সংগঠন সমূহ এক যুক্ত বিবৃতি প্রদান করেছেন।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেছেন বাংলাদেশ নারী মুক্তি কেন্দ্রের সভাপতি সীমা দত্ত, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসু, বিপ্লবী নারী মুক্তি’র নেত্রী নাসিমা নাজনীন, নারী সংহতির সাধারণ সম্পাদক অপরাজিতা চন্দ, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সভাপতি নিরুপা চাকমা,সিপিবি নারী সেল-এর লুনা নূর,সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম-এর সভাপতি রওশন আরা রুশো,বিপ্লবী নারী ফোরাম’র সদস্য আমেনা আক্তার এবং শ্রমজীবী নারী মৈত্রী’র সভাপতি বহ্নিশিখা জামালী।
যুক্ত বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘গেল ১৮ মার্চ সকাল সাড়ে নয়টায় রাঙামাটি সদর উপজেলাধীন কদুকছড়ি ইউনিয়নের আবাসিক নামক জায়গা থেকে হিল উইমেন্স ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মন্টি চাকমা ও জেলা সাধারণ সম্পাদক দয়া সোনা চাকমাকে একটি সশস্ত্র দুর্বৃত্ত চক্র কর্তৃক অপহরণ, গণতান্ত্রিক যুব ফোরামের কেন্দ্রীয় নেতা ধর্মশিং চাকমাকে গুলিবিদ্ধ ও ছাত্রদের মেস-এ অগ্নিসংযোগ লুটপাটের ১৩ দিন পরও সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর পক্ষ থেকে অপহৃতদের উদ্ধারের লক্ষ্যে দৃশ্যমান তৎপরতা পরিলক্ষিত না হওয়ায় আমরা গভীর ক্ষোভ, উদ্বেগ আর নিন্দা জানাই। অনতিবিলম্বে অপহৃতদের অক্ষতভাবে উদ্ধার এবং অপহরণকারী দুর্বৃত্তদের গ্রেফতারের জোর দাবি করছি’।
বিবৃতিতে তারা আরো বলেন, ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে এত বিপুল সংখ্যক আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর রাস্তাঘাটে নিয়মিত টহল, সময়ে সময়ে সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা এবং কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জারি থাকা অবস্থায় বলতে গেলে প্রশাসনের নাকের ডগায় যেভাবে একের পর এক খুন, অপহরণ, মুক্তিপণ, বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে চলেছে-- বাস্তবিক তা যে কোন সচেতন নাগরিককে ভাবিয়ে না তুলে পারে না’।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে নারী নেত্রী মন্টি চাকমা ও দয়াসোনা চাকমাকে সুস্থ ও অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার, অপহরণের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল ধরনের নির্যাতন বন্ধের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে অপহরণের ১৪ দিনেও সন্ধ্যান না মেলায় অপহৃত পরিবারদের মাঝে হতাশা নেমে এসেছে।