মেধাবী শিক্ষার্থী উসুইচিং বাঁচতে চায় ,প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা

প্রকাশঃ ০৮ এপ্রিল, ২০২০ ০৪:২৭:২৪ | আপডেটঃ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:৪৭:১৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বান্দরবানের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন গত এক সপ্তাহ যাবৎ ,আর এই সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকায় বান্দরবানের জনসাধরণের অনেকের নিত্যদিনের ওষুধ শেষ পর্যায়ে চলে এসেছে।

এদিকে কিডনী রোগে আক্রান্ত হয়ে বান্দরবানের সদরের কেয়াং এর মোড় জাদিপাড়ায় ঘরে অসহায়ের মত দিন কাটাচ্ছে বান্দরবান সরকারি কলেজের বি এ অনার্স পড়–য়া অসুস্থ মেধাবী শিক্ষার্থী উসুইচিং মারমা।

জানা যায়, আক্রান্ত হয় উসুইচিং মারমা। দরিদ্র অসহায় ঘরে বসবাস করা এই যুবকের পিতা সানুঅং মারমা সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য নিজের একটি কিডনী তাকে দান করে ২০১৫ সালের ৭ই মার্র্চ। সেই অবধি সানুঅং মারমা নিজের সম্পত্তি বিক্রয় করে সন্তানকে এখন অবধি ওষুধ কিনে কিনে সেবা যতœ করে যাচ্ছে। কিন্তু সারা বিশ্বব্যাপী করোনা আতংকে দেশের গণপরিবহণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নতুন বিপদ। যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় দুরারোগ্য রোগ কিডনির ওষুধ বান্দরবানে না পেয়ে হতাশায় দিন কাটছে উসুইচিং মারমা ও তার পরিবারের।

উসুইচিং মারমার পিতা সানুঅং মারমা বলেন,প্রতিমাসে আমার সন্তানের চিকিৎসার জন্য আমাকে ৩০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হয়। আমি অল্প অল্প করে জমি বিক্রি এবং ধারদেনা করে আমাকে ছেলেকে বাঁচানোর আকুল চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ থাকায় আমি আমার সন্তানের জন্য বান্দরবানে ওষুধ না পেয়ে চট্টগ্রাম যেতে সড়কে বের হলাম। আমি জরুরী ওষুধ কিনার জন্য চট্টগ্রাম যাওয়ার লক্ষে  বান্দরবানের জেলার সিভিল সার্জন ও বান্দরবান সদর থানার ওসির কাছ থেকে প্রত্যয়ন পত্র গ্রহণ করে রওনা দিলেও আমাকে বান্দরবানের সীমানা পয়েন্ট সুয়ালকে সাতকানিয়া থানা পুলিশ চট্টগ্রাম যেতে বাঁধা দেয়। তাদেরকে আমি কয়েকবার মিনতি করি এবং আমার সন্তানের বেঁচে থাকার জন্য ওষুধ কিনে আবার চট্টগ্রাম থেকে ফিরে বান্দরবান আসবো বললে ও তারা আমার কথায় কোন কর্ণপাত করছে না এবং আমাকে ওষুধ কিনতে চট্টগ্রাম যেতে দিচ্ছে না, আর এতে আমি খুবই হতাশায় দিনযাপন করছি । আমি চাই প্রশাসন আমাকে সহায়তা করে আমার সন্তানের ওষুধ কিনতে ব্যবস্থা করে দিক।

এদিকে দুরারোগ্য কিডনির (End Stage Renal Diseases) রোগে আক্রান্ত উসুইচিং মারমা বলেন, আমি বাঁচতে চায়। আমার এই রোগের জন্য আমাকে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতে হয় কিন্তু এই দুসময়ে আমার ওষুধ না পেলে আমি মারা যাব। আমার বাবা বান্দরবানের সিভিল সার্জন ও বান্দরবান সদর থানার ওসির কাছ থেকে সড়ক দিয়ে চট্টগ্রাম গিয়ে ওষুধ ক্রয়ের অনুমতিপত্র নিয়ে আসলে ও সেই অনুমতি সুয়ালক সড়কে টহলরত সাতকানিয়া থানা পুলিশ কোনভাবেই গ্রহণ করছে না এবং আমার বাবাকে চট্টগ্রামে ওষুধ কিনতে দিচ্ছে না। আমি যদি আর দুই একদিন ওষুধ না খেয়ে থাকি তবে আমার বড় ধরণের সমস্যা সৃষ্টি হবে এর দায়ভার কি কেউ নেবে ?