পর্যটন শিল্পর বিকাশে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে মাঠ কর্মশালা অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ০৯ মার্চ, ২০২০ ০৬:১৬:৫৭ | আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:২৬:২২
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের পর্যটন শিল্প বিকাশের জন্য মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও মো.জাবেদ আহমেদ। তিনি বলেন,বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লিখিতভাবে আমাদের সুনির্দিষ্ট করে বলেছেন পার্বত্য জেলা বান্দরবানকে পর্যটন শিল্পে নতুনভাবে দাঁড় করাতে হবে এবং এই জেলাকে সর্বপ্রথম সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে   পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে ও তা বাস্তবায়ন করে দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশ ঘটাতে হবে।

সোমবার সকালে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বান্দরবান জেলা প্রশাসনের আয়োজনে পর্যটন শিল্পের বিকাশে মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের লক্ষ্যে বান্দরবানে মাঠ কর্মশালা অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও মো.জাবেদ আহমেদ এসব কথা জানান।

এসময় তিনি  আরো বলেন,বাংলাদেশের পর্যটন শিল্প অনেকটা এগিয়ে গেলে ও বিশ্ব পর্যটনে বাংলাদেশ এখনো পেঁছনে রয়েছে। বিশ্বের পর্যটন সমৃদ্ধ দেশগুলো যখন তাদের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের পাশাপাশি তাদের আয়ের খাতকে প্রাধ্যন্য দিচ্ছে সেখানে বাংলাদেশ এখনো অনেকটাই দুর্বল এই পর্যটন শিল্পে। এসময় তিনি আরো বলেন,আমরা সারাদেশের পর্যটন শিল্পের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা প্রনয়ন করতে যাচ্ছি আর সেখানে বান্দরবান জেলাকে আমরা প্রথম পর্যায়ে গুরুত্ব দিয়ে এখান থেকেই কাজ শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহণ করছি।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য প্রদান করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দাউদুল ইসলাম, বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের সিইও মো. জাবেদ আহমেদ, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রধান মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এ টি এম কাউছার , বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম, পর্যটন শিল্প বিকাশের মহাপরিকল্পনা প্রণয়ণের টিম লিডার বেন জামিন ক্যারি,উপ-দলনেতা মো. নুরুল ইসলাম নাজেম,বান্দরবানের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. শামীম হোসেনসহ বান্দরবানের বিভিন্ন উপজেলা ও ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন পর্যটন ব্যবসায়ীসহ প্রমুখ।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে গ্রুপ ভিত্তিক পর্যটন শিল্পের বিকাশে বাঁধা ও সুপারিশ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং নতুন যৌক্তিক সুপারিশসমুহ মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে কাজে লাগানোর আশাবাদ ব্যক্ত করে আয়োজকরা।