রাঙামাটিতে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০৫:১৪:৪৬ | আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০১:১৬:৪০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ’’আমাদের সঞ্চয়, আমাদের ভবিষ্যৎ’’ এই প্রতিপাদ্যে রাঙামাটিতে স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্স ২০২০ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাঙামাটি জেলার ১৪টি তফসিলি ব্যাংকের যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশ ব্যাংক এর সহযোগিতায় সোমবার সকালে  পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের মাইনী হলরুমে  এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাব্বির আহমেদ এর সভাপতিত্বে  কনফারেন্সে প্রধান অতিথি ছিলেন, পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের  ফাইন্যান্সিয়াল ইনক্লুশন ডিপার্মেন্ট এর মহাব্যবস্থাপক আনোয়ারুল ইসলাম, আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের জোনাল হেড মো: আজম, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার উত্তম খীসা সহ। এ সময় বিভিন্ন ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তা, স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা  উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে পার্বত্য চট্রগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড প্রাঙ্গন হতে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালী বের হয়ে শহরের প্রধান সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে।
আলোচনা সভা শেষে অতিথিরা কুইজ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরষ্কার বিতরণ করেন।

অনুষ্ঠানে রাঙামাটির জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার উত্তম কুমার খীসা বলেন, সারা দেশে স্কুল ব্যাংকিং যেভাবে কাজ করছে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পিছিয়ে আছে। এখানে ব্যাংকের সংখ্যাও কম। অন্য দিকে স্কুল ব্যাংকিংয়ে জন্য শিক্ষার্থীরা একাউন্ট খুলতে গেলে সেটি খুলতে পারেনা। বিশেষ করে নানিয়ারচর উপজেলায় বৃত্তির টাকা ব্যাংক একাউন্টে প্রদান করা সম্ভব হয়নি। শুধু লোক দেখানো আয়োজন না করে প্রকৃত সেবা প্রদানের আহবান জানানো হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নব বিক্রম কিশোর ত্রিপুরা বলেন, বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হার এখন বিশ্বের সেরা পাঁচে অবস্থান করছে, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাই আমরা চাই একজন শিক্ষার্থী ছোট থেকেই সঞ্চয় মানসিকতা নিয়ে বেড়ে উঠুক এবং ব্যাংকগুলো শুধু শহরে নয়, জেলার প্রায় বায়ান্ন হাজার স্কুল শিক্ষার্থীদের মাঝে এই সেবা পৌঁছে দিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করুক।

কনফারেন্সে বক্তারা শিক্ষার্থীদের ক্ষুদ্র সঞ্চয়ে উৎসাহ দেন এবং তাদের এই সঞ্চয় ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে সম্পৃক্ত করার গুরুত্ব তুলে ধরেন। স্কুল ব্যাংকিং কনফারেন্সে জেলার মোট ১৪টি ব্যাংক ও ১৫ টি স্কুল অংশগ্রহণ করে।