রাঙামাটিতে বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০৬:০০:০২ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:৪২:৪৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে দুই সংগঠনের উদ্যোগে অনুষ্ঠিত হয়েছে, বার্ষিক সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২০। শনিবার সকাল ১০টা হতে রাত ১০টা পর্যন্ত এ উৎসব চলে। ‘শিক্ষা-সংস্কৃতির বিনোদনে আমরা, যেতে চাই বহুদূর...’ শ্লোগান ধারণ করে স্থানীয় শিক্ষা, সংস্কৃতি ও মানবিক সংগঠন ‘পার্বত্য শিক্ষাসহায়ক ফাউন্ডেশন ট্রাষ্ট ও তার সাংস্কৃতিক শাখা তানঝাঙ্ শিল্পীগোষ্ঠী’ রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রাঙ্গণে উৎসবটির আয়োজন করে।

দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসবের প্রথম পর্বে আলোচনা সভা ও সম্মাননা প্রদান এবং দ্বিতীয় পর্বে বিকালে প্রীতি ক্রীড়া ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে ২০১৯ সালে অনন্য ভূমিকা পালনে সংগঠনের ছয় সাংস্কৃতিক ও সাহিত্য জনকে বর্ষসেরা পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

তাদের মধ্যে বছরটিতে পাঁচটি চাকমা ভাষার নাটক সফল মঞ্চস্থ করায় দৈনিক যুগান্তরের জেলা প্রতিনিধি সুশীল প্রসাদ চাকমাকে বর্ষসেরা নাট্যকার, সাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ঢাকার মাহমুদুল হাসান মাছুম ও খাগড়াছড়ির বিনয় বিকাশ তালুকদারকে বর্ষসেরা সাহিত্য পুরস্কার এবং সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাঙামাটির সচিব চাকমা নবীন ও খাগড়াছড়ির জিনা মণি চাকমাকে বর্ষসেরা সাংস্কৃতিক সংগঠক এবং অসামান্য নাট্য অভিনয়ের জন্য রাঙামাটির সুইটি চাকমাকে বর্ষসেরা অভিনেত্রীর পদক প্রদান করা হয়। পার্বত্য শিক্ষাসহায়ক ফাউন্ডেশন ট্রাষ্ট ও তানঝাঙ্ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রগতি খীসা এবং মঞ্চে আমন্ত্রিত অতিথিরা এসব পদক হাতে তুলে দেন।

নাট্যকার ও সাংবাদিক সুশীল প্রসাদ চাকমার সভাপতিত্বে প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের বৌদ্ধধর্মীয় কল্যাণ ট্রাষ্টের রাঙামাটির ট্রাষ্টি ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপক বিকাশ খীসা, বিশিষ্ট কবি ও সাহিত্যিক মৃত্তিকা চাকমা, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো: . সোলাইমান, রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর গবেষণা কর্মকর্তা শুভ্র জ্যোতি চাকমা, বরকল প্রেসক্লাবের সভাপতি বিহারী চাকমা, চাকমা কালচার কাউন্সিল বাংলাদেশের সহ-সভাপতি পরেশ খীসা ও মানবিক সংগঠন উন্মেষ’র সভাপতি বিটন চাকমা প্রমুখ। পরে অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সন্ধ্যায় উপস্থিত অভিনয়, নৃত্য, কণ্ঠশিল্পী ও কলা-কৌশলীসহ সাংস্কৃতিককর্মীদের মধ্যে তৈরি করে উৎসবের প্রাণের উচ্ছ্বাস।