বান্দরবানে ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে রোহিঙ্গা যুবক গ্রেফতার

প্রকাশঃ ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২০ ০৮:২৬:৪৩ | আপডেটঃ ০৬ মে, ২০২৪ ১২:৫৩:১৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের নাইক্ষংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নে চতুর্থ শ্রেণীতে পড়ুয়া এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে পাহাড়ে লাশ ফেলে রাখার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঘটনাস্থল বড়ইতলী এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত রেশমা আক্তার (১০) বড়ইতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪র্থ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। তার বাবার নাম নূর মোহাম্মদ। এই ঘটনায় আটক করা হয়েছে রাসেল (১৭) নামে এক রোহিঙ্গা যুবককে।

পুলিশ ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায় শুক্রবার বিকালে রেশমা আক্তার বাড়ির কিছু দূরে বড়ইতলী শ্বশানখোলা (চিতাখোলা) এলাকায় গরু চড়াতে গিয়ে বাড়িতে ফেরেনি।দীর্ঘ সময়েও বাড়িতে না ফেরায় তার বাবা, আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসী সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খুঁজাখুজি করে।
শনিবার সকালে স্থানীয় বৌদ্ধ মন্দিরের পশ্চিম পাশে একটি ঝিরিতে বিবস্ত্র অবস্থায় রেশমার মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা।এসময় তার শরীরে রক্ত ও গলায় কালো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়।

এদিকে শনিবার দুপুরে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা ও ঘুমধুম পুলিশ ফাড়ির সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে বান্দরবান জেলা সদেরর মর্গে পাঠায়। এই ঘটনায় অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে অভিযুক্ত রাসেল (১৭) কে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার বদিউল আলম জানান ,লাশের কিছু দূরে পড়ে থাকা একটি রক্তমাখা শার্ট দেখে  ধর্ষক রাসেল (১৭)কে চিহ্নিত করা হয়। তার বাবা নুরুল ইসলাম এলাকার ভোটার নয়। দীর্ঘদিন আগে তারা মিয়ানমার থেকে এসে এলাকায় আশ্রয় নেয়। রাসেলও বড়ইতলী এলাকায় ৫ম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: আনোয়ার হোসেন জানান , ঘটনার পর পর ধর্ষককে আটক করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে। এই ঘটনায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করা হবে।