ওয়াগ্যো প্যোয়ে উপলক্ষে নদীতে ভাসলো নৌকা, আকাশে উড়লো ফানুস

প্রকাশঃ ১৩ অক্টোবর, ২০১৯ ১২:০৬:২২ | আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:৫৫:২৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। নানা ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে পালিত হচ্ছে প্রবারণা পূর্ণিমা। তিন মাসের বর্ষাবাস শেষে এই উৎসব উদযাপিত হচ্ছে। দিনব্যাপি নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যায় বিহারগুলোতে মঙ্গল কামনায় ফানুস বাতি উড়ানো হয়। সারাদেশের মত পাহাড়ের বৌদ্ধ ধর্মালম্বীরা  এই বিশেষ দিনটি উদযাপন করেছে। তবে একই ধর্মাবলম্বী হলেও অনেকটা ব্যতিক্রমীভাবে মারমা জনগোষ্ঠীর মানুষ আজ ওয়া বা ওয়াগ্যো প্যোয় উৎসব পালন করছে। সন্ধ্যায় চেঙ্গী নদীতে ভাসানো হয় দৃষ্টিনন্দন দুইটি ময়ূর কল্পজাহাজ। বাঁশ, বেত, কাঠ আর রঙ্গিন কাগজ দিয়ে অপূর্ব কারু কাজে তৈরী করা হয় এগুলো। আর ভগবান বৌদ্ধের উদ্দেশ্যে আকাশে আকাশ প্রদীপ (ফানুস) উড়িয়ে এবং নদীতে বাতি ও হাজার প্রদীপ জ্বালিয়ে জগতের সকল প্রাণীর মঙ্গল কামনা করা হয়।

এর আগে শহরে একটি র‌্যালী বের করা হয়। র‌্যালীটি শহরের শহীদ কাদের সড়ক হয়ে রাজ্যমনি পাড়া গিয়ে শেষ হয়।

বৌদ্ধদের মতে, প্রবারণা হলো আত্মশুদ্ধি ও অশুভকে বর্জন করে সত্য ও সুন্দরকে বরণের অনুষ্ঠান। এ প্রবারণা পূর্ণিমার পর দিন থেকে এক মাস দেশের প্রতিটি বৌদ্ধবিহারে শুরু হবে শুভ কঠিন চীবর দানোৎসব।

এদিকে ভোর থেকে বুদ্ধ পুজা, পঞ্চশীল গ্রহন, সংঘ দান, অষ্ট পরিস্কার দান, হাজার বাতি দান ও ধর্ম দেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় প্রবারণার আনুষ্ঠানিকতা। এসময় জগতের সকল প্রাণীর সুখ সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।

সকালে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, বৌদ্ধ মূর্তি স্নান, ফুল-ফল দিয়ে প্রার্থনা করেন। এসময় সাধ্যমত ভান্তেকে ছোয়াইং (খাদ্য) প্রদান করা হয়। আজ থেকে আগামী একমাস বিহারে বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠিত হবে।