ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় রাঙামাটির ধামাইছড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ

প্রকাশঃ ১৪ মে, ২০১৮ ১১:৩৬:৫৯ | আপডেটঃ ০২ মে, ২০২৪ ০৩:৪২:৫৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় রাঙামাটি উপজেলা সদরের ৫ নম্বর বন্দুকভাঙ্গা ইউনিয়নের ধামাইছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠদান বন্ধ হয়ে গেছে। এমাসের ৮ তারিখে  ঘুর্ণিঝড়ে টিনের চাল ও বেড়া উড়ে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে বিদ্যালয়টি। এতে পাঠদান বা শ্রেণী কার্যক্রম চালানোর কোনো পরিস্থিতি নেই। ফলে ব্যাহত হচ্ছে সেখানকার শিশু শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা। বিদ্যালয়টির পরিচালনা কমিটির কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি সুনেন্টু বিকাশ চাকমা বলেন, বিদ্যালয় ঘরটি অনেক পুরনো ছিল। তার ওপর কাঁচা ঘর- যা টিনের চাল ও বেড়া দিয়ে নির্মিত। খুব নড়বড়ে ও ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ের ছোবলে চাল ও বেড়া উড়ে গিয়ে লন্ডভন্ড হয়ে বিধ্বস্ত হয়েছে বিদ্যালয়টি। বর্তমানে শ্রেণী বা পাঠদান কার্যক্রম চালানোর কোনো পরিস্থিতি নেই। এ অবস্থায় বাধ্য হয়ে বিদ্যালয়টিতে পাঠদান বন্ধ রাখতে হয়েছে। বিষয়টি সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে কিনা তা এখনও জানা যায়নি। সম্পূর্ণ নতুন করে বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ ছাড়া শ্রেণী ও একাডেমিক কোনো কার্যক্রম পরিচালনা সম্ভব হবে না।

বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক সুবিনয় চাকমা বলেন, বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে চার শিক্ষক কর্মরত। শূন্য পদে আরেক শিক্ষক পদায়ন দেয়া হয়েছে। কয়েক দিনের তিনি যোগদান করবেন বলে জানানো হয়েছে। ছাত্রছাত্রী সংখ্যা শতাধিক। বিদ্যালয়টি ঝড়ে বিধ্বস্ত হওয়ায় এসব শিক্ষার্থীদের পড়ালেখা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। দ্রুত বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ দরকার।

তিনি জানান, বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়েছে ১৯৮১ সালে। ১৯৮৯ সালে নিবন্ধিত হওয়ার পর ১৯৯৪ সালে সরকারি অর্থে টিনের চাল ও বেড়া দিয়ে বিদ্যালয় ঘরটি নির্মিত হয়। ২০১৩ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে প্রায় ২৬ হাজারের অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সঙ্গে ধামাইছড়া বিদ্যালয়টিও জাতীয়করণ হয়েছে। ৮ মে ঘুর্ণিঝড়ে বিদ্যালয়টি সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত হয়- যা বর্তমানে বিদ্যালয় চালু বা শ্রেণী কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তিনি জরুরি ভিত্তিতে বিদ্যালয়টির ভবন নির্মাণের জন্য সরকারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।