প্রকাশঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৫:১৮:৪৫
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:৪০:১১
কৌশিক দাশ, সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবান সদর উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে বারি মাল্টা ১ জাতের মাল্টার আবাদ হয়েছে, আর এর মধ্যে ১০ হেক্টর জমিতে এবার ভালো ফলন হয়েছে। এ বছর হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ৩-৪ মেট্রিক টন।
সদর উপজেলার, ক্যামলংপাড়া, গ্যাৎসিমানীপাড়া, ৯ মাইল, বসন্ত পাড়া, চান্দারপাড়া ও চিম্বুকে বারি মাল্টা ১এর আবাদ হয়েছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রদর্শনী আকারে কৃষকদের বিনামূল্যে চারা কলম ও সার সরবরাহ করা হয়েছে এবং রোপন পদ্ধতি ও পরিচর্যার বিষয়ে কৃষক প্রশিক্ষণও প্রদান করা হয়েছে,ফলে কৃষক তার সুফল পেতে শুরু করেছে।
ক্যামলং ব্লকের কৃষক অংজাইউ মার্মা জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় ৩ বছর আগে চারা কলম ও সার পেয়ে উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ক্যাহ্লাউ মার্মার পরামর্শে ২ একর জমিতে বারি মাল্টা ১ এর চাষ করি। এবছর প্রথমবার ফল ধরেছে এবং ইতোমধ্য বিশ হাজার টাকা বিক্রয় করেছি। এবছর জেলা কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় আরো ৫০ শতক জমিতে বারিমাল্টার আবাদ করেছি।
বান্দরবান সদর উপজেলার কৃষি অফিসার মোঃ ওমর ফারুক জানান, বারি মাল্টা জাতের বৈশিষ্ট্য হচ্ছে ফল পরিপক্ক হলে ও খোসা সবুজ ও হালকা হলুদের রঙের হয় এবং ফলের নিচের অংশে পয়ঁসার মত চাপ থাকে। কাঁচা অবস্থাও খুব রসালো ও সুমিষ্ট হয় এই ফল। তিনি আরো জানান, বান্দরবান বাজারে ডজন প্রতি ১৫০ থেকে ২০০ টাকায় বিক্রয় হচ্ছে এই মাল্টা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়,চলতি বছরে পুরাতন বাগানের পরিচর্যার জন্য ইতোমধ্যে বিনামূল্যে সার ও বালাইনাশকসহ নতুন বাগান সৃজনের জন্য আরো ৫০ জন্য কৃষককে বাগান আকারে চাষের জন্য বিনামুল্যে চারা কলম ও সার বিতরণসহ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। আর তাই উচ্চমূল্যের ফসল হিসেবে স্থানীয় ও দেশিয় বাজারে বারি মাল্টা ১ এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে অদুর ভবিষ্যতে বিদেশী মাল্টার আমদানীর পরিমান অনেকটাই কমে যাবে আশাবাদ চাষীদের।