বিধিমালা প্রনয়ন হলে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ শুরু করতে পারবে কমিশন: বিচারপতি (অব) আনোয়ার উল হক

প্রকাশঃ ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৬:৪৯:০৭ | আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৪:১১:৫০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব)  আনোয়ার উল হক বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের  কার্য বিধিমালা প্রনয়ন না করায় পাহাড়ে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কাজের গতি আসছে না। বিধিমালা প্রনয়ন হলে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজের গতি বাড়বে। বিধিমালা প্রনয়ন করতে সরকারের কাছে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো বিধিমালাটি প্রনয়ন হয়নি। বিধিমালা প্রণীত হলে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ শুরু করা হবে।

বৃহস্পতিবার দুপুর  ২ টায় রাঙামাটি সার্কিট হাউজে  ভুমি কমিশনের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

এ সময় তিনি বলেন, কমিশনের এখনো জনবল নিয়োগ হয়নি। তিন পার্বত্য জেলায় কমিশনের কার্যালয় স্থাপন করা যায়নি। এগুলো ভুমি মন্ত্রনালয়ে আটকে আছে। তবে এজন্য কমিশনের কার্যক্রম আটকে নেই, কমিশন তার নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যদি বিধিমালাটি প্রনয়ন হয় তবে বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ শুরু করা হবে।

তিনি আরো বলেন, তিন পার্বত্য জেলায় যেসব এলাকায় ভুমি বিরোধ রয়েছে ভুক্তভোগীরা চাইলে এখনো কমিশনের অভিযোগ দায়ের করতে পারবে। এটি চলমান প্রক্রিয়া। এ পর্যন্ত ২২ হাজার ৯০টি ভুমি বিরোধের আবেদন কমিশনে জমা পড়েছে জানান চেয়ারম্যান। তিনি আরো জানান, আগামী ১০ অক্টোবর রাঙামাটিতে ভুমি কমিশনের পরবর্তী সভা অনুষ্ঠিত হবে।

কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব)  আনোয়ার উল হকের সভাপতিত্বে সকাল সাড়ে ১১ টায় এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান প্রতিনিধি গৌতম চাকমা, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা,  খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী, মং সার্কেল চীফ রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, কমিশনের সচিব মো. আলী মনসুর  উপস্থিত ছিলেন। বৈঠক শেষ হওয়ার পর পরই দুপুর ২ টায় সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান।

কমিশনের সদস্য চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, কমিশনের সদস্যদের মাঝে বোঝাপড়া বৃদ্ধি পেয়েছে, কমিশনের কাজ এগুচ্ছে। ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কাজ যেন সবার গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য কমিশন কাজ করছে। বিধিমালা প্রনয়ন  হলে শুনানিতে যাওয়া হবে।

বোমাং সার্কেল চীফ উচ প্রু চৌধুরী বলেন, কমিশনের কাজ খুব ভালভাবে হচ্ছে। আশা করছি ৫/৬ মাসের মধ্যে কাজ দৃশ্যমান হবে।

প্রসঙ্গত;  পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়। আইনটি ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়। আইন সংশোধনের পর অব: বিচারপতি আনোয়ার উল হককে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার মেয়াদ শেষ হলে তাকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে একাধিক চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হলেও সদস্যদের অসন্তোষের কারণে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ এগুতে পারেনি।