ফুলে ফুলে সমাহিত হলেন একুশে পদক প্রাপ্ত মংছেন চিং মংছিন

প্রকাশঃ ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০৯:১৮:৫৮ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৫৮:৪৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ফুলে ফুলে সমাহিত হলেন খাগড়াছড়ি জেলার মহালছড়ি’র একুশে পদকপ্রাপ্ত গবেষক ও সাহিত্যিক মংছেনচীং মংছিন। রোববার বিকেল তিনটার সময় তাঁকে পারিবারিক শ্মশানে সমাহিত করা হয়। এ সময় তাঁর পরিবারের লোকজনসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন গুণগ্রাহীরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে সকালে প্রয়াতের মরদেহে ফুলেল শ্রদ্ধা জানান, সাবেক এমপি যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র পক্ষে পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য জুয়েল চাকমা, খাগড়াছড়ি সেনা রিজিয়নের পক্ষে মহালছড়ি জোন অধিনায়ক লে: কর্ণেল মেহেদী, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরীর পক্ষে পরিষদের জন সংযোগ কর্মকর্তা চিংহ্লামং চৌধুরী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠির সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট-এর উপপরিচালক জিতেন চাকমা, দৈনিক গিরিদর্পণ-এর পক্ষে সাংবাদিক প্রদীপ চৌধুরী ও সমির মল্লিকসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। 

মংছেনচীং মংছিন কক্সবাজার জেলায় রাখাইন পাড়ায় ১৯৬১ সালে জন্মগ্রহন করেন। মৃত্যুকালে সময় তাঁর বয়স ৫৮ বছর।
তিনি ২০১৬ সালে সাহিত্যে নিয়ে গবেষণা ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য একুশে পদক লাভ করেন। পার্বত্যাঞ্চলের একমাত্র একুশে পদক প্রাপ্ত ব্যক্তি ছিলেন তিনি। এছাড়া ও তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য অসংখ্য পুরষ্কার পান।

তার স্ত্রী বেগম রোকেয়া পদক পাওয়া শোভা রানী ত্রিপুরা ও তার কন্যা প্রিয়াংকা পুতুল বলেন তাঁর এখনো অসংখ্য পান্ডু লিপি আছে। সে গুলো যদি সরকার প্রকাশের ব্যবস্থা করে দেন তাহলে মংছেনছীনের আত্মার শান্তি পাবে বলে তারা মনে করেন।

উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ৭ সেপ্টেম্বর শনিবার রাঙামাটির তবলছড়ির নিজ মেয়ের ভাড়া বাসায় সকাল ১১টায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুপর তাকে মহালছড়ি নিজ বাড়ীতে আনা হয়। তিনি ফুসফুসের রোগ সহ বিভিন্ন দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত ছিলেন।

মৃত্যুর সময় তিনি স্ত্রী ও দুই কন্যা সহ অসংখ্য আত্মীয়স্বজন ও শুভাকাঙ্খী রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রী শোভা রাণী ত্রিপুরাও একাধারে শিক্ষিকা ও সাহিত্যে অবদানের জন্য ২০১৭ সালে বেগম রোকেয়া পুরষ্কার প্রাপ্ত হন। তার মৃত্যুতে খাগড়াছড়ির সাংসদ কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, সাবেক এমপি যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী,জেলা প্রশাসক প্রতাব চন্দ্র বিশ্বাসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠন শোক প্রকাশ করেছেন।