সরকারের যত উন্নয়ন কাজে বাঁধা দেয় আঞ্চলিক পরিষদ : দীপংকর তালুকদার এমপি (ভিডিওসহ)

প্রকাশঃ ১৭ অগাস্ট, ২০১৯ ১২:১৭:৫২ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০৩:০৭:২৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি আসনের  সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি বলেছেন, ১৯৯৬ সনে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর ১৯৯৯ সনে পার্বত্য চট্টগ্রামে বনায়ন প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছিল, কিন্তু পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদ ও জনসংহতি সমিতির বিরোধিতার কারণে তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ব ব্যাংক ৬৪ জেলার বনায়নের জন্য ১২শ কোটি টাকা বরাদ্দ দিলেও আবারো আঞ্চলিক পরিষদের বিরোধীতার কারনে তিন পার্বত্য জেলাকে বাদ দেয়া হয়, বাকি ৬১টি জেলায় এখন সামাজিক বনায়ন চলছে।

‘পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে টেকসই পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক দিনব্যাপী  সেমিনারে গেষ্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্যদানকালে সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী ও রাঙামাটি আসনের সাবেক সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার এমপি এসব কথা বলেন।

দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, সরকার রাঙামাটিতে মেডিকেল কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় করতে গেলেও  তাতেও বাধা দিয়েছিল তারা। কিন্তু সরকারের দৃঢ় পদক্ষেপের কারনে  কারনে এখানে বিশ্ববিদ্যালয় দুটির কার্যক্রম চালু হয়েছে, তাও ক্লাশ শুরুর দিন প্রশাসনকে কার্ফ্যু জারি করতে হয়েছিল, একজন মারাও যায়। এখানে স্কুল, কলেজ, রাস্তা করতে গেলে বাঁধা দেয়, কেন দেয় তারা বলছে আগে শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করতে হবে, আমরা তো বলেনি আমরা পুনাঙ্গ শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন করেছি, চুক্তি বাস্তবায়ন এটা চলমান প্রক্রিয়া, কিন্তু চুক্তি বাস্তবায়নের অজুহাতে আপনি উন্নয়ন কার্যক্রম বাঁধাগ্রস্ত করতে পারেন না। জেএসএসের বাঁধার কারনে আল্টিমিটলি সাধারন জনগন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।


তারা এখানে যে কোনো উন্নয়ন কর্মকান্ডে প্রধান প্রতিবন্ধকতা হচ্ছে অবৈধ অস্ত্র। আর তাদের টার্গেট বিএনপি, জামায়াত নয়- আওয়ামী লীগ। অবৈধ অস্ত্র দিয়ে তিন পার্বত্য জেলায় আমাদের অনেক নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।