শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নে পাহাড়ে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে

প্রকাশঃ ১৪ অগাস্ট, ২০১৯ ০৬:২৪:১২ | আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৩৪:১৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। পার্বত্য শান্তি চুক্তি পুনাঙ্গ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে পাহাড়ে বিরাজ মান হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে।  হত্যা রাজনীতি বন্ধ হলে চুক্তি বাস্তবায়নের পাশাপাশি নতুন প্রজম্মকে আমরা সুন্দর সমৃদ্ধ ময় পার্বত্য চট্টগ্রাম উপহার দিয়ে যেতে পারবে।
বুধবার জুরাছড়ি আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে শোক র‌্যালী ও আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি ও সাবেক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা একথা বলেন।

উপজেলা বিশ্রামাগারে অনুষ্ঠিত শোক সভায় জুরাছড়ি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সভাপতিত্ব করেন প্রবর্তক চাকমা। এ সময় বিশেষ অতিথি জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জ্যেতির্ময় চাকমা (কেরল), রাঙামাটি জেলা পরিষদ সদস্য জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা প্রমূখ। সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চারু বিকাশ চাকমা, জেলা যুবলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চাকমা, জুরাছড়ি যুবলীগের সভাপতি সুমতি বিকাশ দেওয়ান জেলা ছাত্রলীগের সাধরণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা।
এ সময় নিখিল কুমার চাকমা আরো বলেন, পাবর্ত্য আঞ্চলিক সংগঠন গুলো গুপ্ত হত্যার মাধ্যমে পাহাড়ের সাধারণ মানুষদের জিম্মি করে রেখেছে। প্রতিটি পরিবারের কারো না কারো স্বজন এসব আঞ্চলিক দলের কর্মীদের হাতে হতাহত হয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ছাত্রলীগের নেতা সুদীপ্ত চাকমা (মক্কা), কিনা মোহন চাকমা, যুব লীগের নেতা অরবিন্দু চাকমাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ছাত্র লীগের নেতা সুদীপ্ত চাকমা (মক্কা) ও নানিয়াচরের  আমার আপন দুই ভাইকে অহৃরন করে হত্যা করা হয়েছে। দুঃখ্যজনক হলেও সত্য তাদের লাশ পর্যন্ত সমাধি করার সুযোগ দেওয়া হয়নি। তিনি আঞ্চনিক সংগঠনের কর্মীদের প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়ে বলেন, এসব হত্যা কান্ড করে পাবর্ত্য এলাকায় শান্তি চুক্তি পুনাঙ্গ বাস্তবায়ন কিংবা শান্তি প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব হয়েছে কিনা ?

নিখিল কুমার চাকমা আঞ্চলিক সংগঠনের কর্মীদের আহ্বান জানিয়ে বলেন, সকল রাজনৈতিক সংগঠনের কর্মীদের গনতান্ত্রীক পরিবেশে রাজ নৈতিক চর্চার সহযোগীতা প্রদান করে সম্মিলিত ভাবে পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ঐক্য বদ্ধ আন্দোলনের অনুরোধ জানান।

এদিকে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে রচনা, আবৃত্তি ও চিত্রাংকন প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত প্রতিযোগীতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা কর্মকর্তা কৌশিক চাকমা, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা তরুন চাকমা, সমবায় কর্মকর্তা শ্যমল চক্রবত্তি সহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগন উপস্থিত ছিলেন।