বান্দরবানে সরগরম কোরবানীর ঈদের গরুর বাজার

প্রকাশঃ ০৭ অগাস্ট, ২০১৯ ০৬:০০:৪৩ | আপডেটঃ ১৭ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৫৯:৩৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। শেষ মুহুর্তে ক্রেতা বিক্রেতাদের পদচারনায় সরগরম পার্বত্য জেলা বান্দরবানের গরু-ছাগলের হাট। কোরবানীর সময় ঘনিয়ে আসা এবং হাটের শেষ সময়ে দিনভর ক্রেতা-বিক্রেতাদের পদচারনায় ব্যস্ত জেলা সদরের গরু-ছাগলের হাট। সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি জেলার বিভিন্ন স্থানে বসছে এই হাট। জেলার রাজার মাঠে, বালাঘাটা, কালাঘাটা ও হাফেজঘোনা ছাড়া ও কয়েকটি স্থানে বিভিন্ন সময়ে বসেছে গরুর হাট। বান্দরবান ছাড়া ও পাশ্ববর্তী জেলার ক্রেতারা প্রতিদিনই বিভিন্ন বাজারে গরু কিনতে ছুটে যাচ্ছে।

পার্বত্য জেলা বান্দরবানে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীদের পালিত গরুর প্রতি আস্থা অনেকের। এই এলাকার গরুকে মোটা তাজাকরনে কোন ওষুধ খাওয়ায় না,তাই পাহাড়ে বেড়ে ওঠা গরুর চাহিদা সকলের। কোরবানের জন্য তাই আদিবাসিদের পালিত গরুর খোঁজে বিভিন্ন দুর্গম পাহাড়েঁ চড়ে বেড়াচ্ছে গরুর ক্রেতারা। এদিকে এবার ভারত ও মায়ানমার থেকে সীমান্ত পথে কোন গরু জেলায় ঢুকতে পারেনি ,তাই স্থানীয় এবং দেশীয় গরুর ওপরই নির্ভর থাকতে হয়েছে ক্রেতাদের।
 
গতবছরের চেয়ে এবার গরুর দাম অনেক বেশি বলে জানিয়েছেন অনেক ক্রেতা। কারণ হিসেবে বিক্রেতারা বলছেন চাহিদার তুলনায় বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকা এবং লালনপালন খরচ বেড়ে যাওয়া ও সাম্প্রতিক বন্যায় এবার স্থানীয় গরুর দাম তুলনামূলক বেশি। তারপরে ও শেষ সময়ে বাজারে বিভিন্ন দামে গরু-ছাগল বেচাকেনা হচ্ছে, আর সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা ভালো থাকায় ক্রেতা বিক্রেতাদের সমাগমে জমজমাট হয়ে ওঠেছে পশুর হাটগুলো।  

বান্দরবান রাজার মাঠে গরু বিক্রয় করতে আসা মো:কবির হোসেন জানান,এবারের সাম্প্রতিক বন্যায় বান্দরবানে বেশ ক্ষতি হয়েছে ,আর এ কারনেই অনেক গরুর দাম বেড়ে গেছে।

গরু বিক্রয় করতে আসা জামাল হোসেন জানান,এবারে আমি ৩টি গরু বান্দরবান বাজারে নিয়ে এসেছি। দাম ১লক্ষ ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকার মধ্যে। আশাকরি ভালো দাশে বিক্রি করতে পারবো।


এদিকে জেলা সদরের কোরবানীর পশুর হাটগুলোতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার কোন খবর পাওয়া যায়নি, প্রতিটি পশু বাজারে স্বেচ্ছাসেবকরা অক্লান্ত পরিশ্রম করছে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।প্রতিটি পশু হাটের নিরাপত্তায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য ও সাদা পোষকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কর্মরত রয়েছে ,ক্রেতা ও বিক্রেতারা যাতে নিবিঘেœ হাটে এসে পশু ক্রয় ও বিক্রয় করতে পারে তার জন্য সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করছে পুলিশের সদস্যরা।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: শহিদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, বান্দরবানে প্রতিটি পশু হাটের নিরাপত্তায় আইনশৃংখলা রক্ষাকারি বাহিনীর সদস্য ও সাদা পোষাকে গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কর্মরত রয়েছে। বাজারে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা রয়েছে এবং ক্রেতা ও বিক্রেতারা নিরাপদে তাদের পশু ক্রয় বিক্রয় করতে পারছে ।