কিভাবে পর্যটন শহর রাঙামাটি আসবেন

প্রকাশঃ ৩০ মার্চ, ২০১৮ ০৯:১৩:০৮ | আপডেটঃ ২৫ নভেম্বর, ২০২৪ ০৫:২৭:৪৪

বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর অপার সম্ভাবনাময় নৈসর্গিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমি পার্বত্য জেলা রাঙামাটি। এ জেলার অসংখ্য পাহাড়,  হ্রদ, ঝর্ণা, বিশাল কাপ্তাই  হ্রদ, উপভোগ্য দর্শনীয় স্থাপনা, নিদর্শন, বৈচিত্রের ঐক্যতান, বিশেষত: উপজাতীয়দের বর্ণিল জীবন ধারা, ভাষা, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, বৈচিত্র জুম্মক্ষেতসহ এখানকার সবই দেখার মতো। কাপ্তাই  হ্রদের স্বচ্ছ জল আর দিগন্তে জোড়া উঁচু-নিচু সবুজ পাহাড় যে কাউকে কাছে টানে অতি সহজেই। বর্ষায় বৃষ্টিস্নাত পাহাড়ে সজীবতার ছোঁয়ায় হৃদয় মনে জাগায় নতুন প্রাণের ষ্পন্দন। অনুরূপ শীতের শুস্ক মৌসুমে  হ্রদের জলে ভেসে ওঠে ছোট ছোট পাহাড়। আর তাতে প্রকাশ পায় পাহাড়ের রুক্ষ রূপ। সবকিছু মিলিয়ে ঐতিহ্যমান রাঙামাটি বৈচিত্রপূর্ণ এক অপরূপ-অনন্যা নৈসর্গিক সৌন্দর্যের আধার। গড়ে উঠেছে ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সৌন্দর্যের ঐকতান।

ঢাকা থেকে কিভাবে আসবেন?
যান্ত্রিক শহরে যারা বসবাস করেন তারা ক্লান্তি দুরক করতে সরকারী ছুটি বা বন্ধের  দিনে ঢাকা থেকে পর্যটন শহর রাঙামাটি আসতে পারেন। ঢাকার কমলাপুর, সায়েদাবাদ, ফকিরাপুল, ফার্মগেট, কল্যানপুর থেকে ডলফিন, সৌদিয়া, ইউনিক, বিআরটিসি ও এসআলম বাস সার্ভিস রয়েছে। এসব বাস সরাসরি রাঙামাটি আসে। সকাল এবং রাতে দুসময়ে বাসগুলো ঢাকা থেকে রাঙামাটির উদ্দ্যেশ্যে ছাড়া হয় আবার রাঙামাটি থেকে ঢাকার উদ্দ্যেশে ছাড়া হয়।


কিভাবে চট্রগ্রাম বা কক্সবাজার থেকে রাঙামাটি আসবেন?

চট্রগ্রাম থেকে রাঙামাটি আসা একদম সোজা। চট্রগ্রামের অক্সিজেনে রাঙামাটি আসার একমাত্র অস্থায়ী বাস টার্মিনাল রয়েছে। সেখানে এসে লোকাল বা পাহাড়ীকা বাাসে উঠতে পারেন। দুই থেকে আড়াই ঘন্টার মধ্যে আপনাকে বাস কর্তৃপক্ষ রাঙামাটি শহরে নামিয়ে দিবে।

কোথায় থাকবেন?

রাঙামাটি শহর ত্রিভুজ মুখী শহর। শহরে ঢুকতেই কলেজ গেইট থেকে রিজার্ভবাজার, তবলছড়ি বনরুপায় রয়েছে থাকা খাওয়ার আবাসিক হোটেল। একটু উন্নত হোটেল চাইলে থাকতে পারেন শহরের কাঠালতলীতে হোটেল সুফিয়া ( ফোন নম্বর ০৩৫১-৬১১৭৪, ৬২১৪৫) রিজার্ভ বাজারে হোটেল গ্রীন ক্যাসেল ( ফোন -০৩৫১-৬১২০০,৭১২১৪) পর্যটন মোটেল ( ফোন ০৩৫১-৬৩১২৬,৬১০৪৬) এবং বনরুপা হোটেল নীড হিল ভিউ (ফোন-৬৩৬০৫,৩৬০৬)। এছাড়া শহরের বিভিন্ন স্থানে রয়েছে আদিবাসীদের খাবার সমৃদ্ধ খাওয়ার হোটেল।


কোথায় ঘুরবেন?
রাঙামাটি জেলার নয়নাভিরাম বিশাল কাপ্তাই হ্রদ, সুবলং প্রাকৃতিক ঝর্ণা, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সি আবদুর রউফের স্মৃতি সৌধ, পর্যটন মোটেল, ঝুলন্ত ব্রীজ, পেদাটিং টিং, কাপ্তাই বাঁধ, কাপ্তাই হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্ট, কাপ্তাই জাতীয় উদ্যাণ, কর্ণফুলী পেপার মিল, চিৎমরম বৌদ্ধ বিহার, বেতবুনিয়া ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র, মোনঘর শিশু সদন, রাজবাড়ি, রাজবন বিহার, উপজাতীয় সাংস্কৃতিক ইনষ্টিটিউট, উপজাতীয় যাদুঘর, জেলা প্রশাসকের বাংলো, ঐতিহ্যবাহী জুম্ম ক্ষেতসহ অসংখ্য আদিবাসী গ্রাম এবং আদিবাসীদের বৈচিত্রপূর্ণ বর্ণাঢ্য জীবনধারা, কৃষ্টি,সংস্কৃতি যে কোন পর্যটককে খুব সহজেই কাছে টানে।