প্রথাগত আইনগুলো ঠিকিয়ে রাখতে হেডম্যান কার্বারীদের ভুমিকা রাখতে হবে-দেবাশীষ রায়

প্রকাশঃ ১৭ জুলাই, ২০১৯ ০১:২৪:৩৫ | আপডেটঃ ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৮:৪০:৩৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর জনগোষ্ঠীর প্রথা রীতি পদ্ধতি ধারক বাহক হলেন হেডম্যান (মৌজা প্রধান), কার্বারী (গ্রাম প্রধান) রা। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীদর প্রথাগত আইনের যথাযত প্রয়োগ করে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা নিরসন করতে এদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। তবে প্রথাগত আইনগুলো টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে। প্রথাগত আইন বলতে জনগণ যেটি বানায় সেটিই প্রথাগত আইন। কথাগুলো বলেছেন, চাকমা সার্কেলের রাজা ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায়।

বুধবার সকালে রাঙামাটি শহরের একটি রেস্টুরেন্টে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, নারী হেডম্যান নেটওয়ার্কের আয়োজিত আদিবাসী নারী অধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধ, প্রথাগত প্রতিষ্ঠানের নারী নেতৃত্বের সক্ষমতা বিষয়ক এক কর্মশালায় এ কথাগুলো বলেন, দেবাশীষ রায়।

তিনি বলেন, প্রথাগত আইনগুলো কাজে লাগাতে হবে। এগুলো ঠিকিয়ে রাখতে হেডম্যান কার্বারীদের গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করতে হবে। নেতৃত্বে সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রথাগত আইনগুলোর সাথে অন্যান্য আইনগুলো নিয়েও ধারণা অর্জন করতে হবে, জানতে হবে।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সাবেক সদস্য নিরূপা দেওয়ান বলেন, বিগত কয়েক বছরে নারী হেডম্যান কার্বারীরা অনেক এগিয়েছে। তারা তাদের কর্মপরিধি,অধিকার সম্পর্কে অনেক সচেতন হয়েছে। এটি অব্যাহত রাখতে হবে। আরো সামনে এগুতে হবে।

নারী হেডম্যান কার্বারী নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক সান্তনা চাকমার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন,আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য সাথোয়াই প্রু মারমা, সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্কের সাধারণ সম্পাদক শান্তি বিজয় চাকমা। কর্মশালায় মুল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দেবাশীষ রায়। মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন ও সিএইচটি হেডম্যান নেটওয়ার্ক এ কর্মশালায় সহায়তা করে।