নিহতের পরিবারের মাঝে অনুদান বিতরণ

প্রকাশঃ ১০ জুলাই, ২০১৯ ০১:৪৮:৩৩ | আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৫৫:৫১
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। অব্যাহত বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। জেলার দীঘিনালার ছোট মেরুং বাজার সংলগ্ন এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। মহালছড়ি এলাকার নিম্নাঞ্চলগুলোতে পানি বেড়েছে। 

চেঙ্গী,মাইনী ও ফেনী নদীর পানি বাড়া অব্যাহত আছে। সকাল থেকে আরো ভারী বর্ষন হওয়ায় পরিস্থিতির আরো অবনতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেলায় সদরের ফুটবিল, উত্তর গঞ্জপাড়া, দক্ষিণ গঞ্জপাড়া, কালাডেবা, রাজ্যমনিপাড়া, মেহিদিবাগ, শব্দমিয়া পাড়া, বাঙ্গালকাটি, শান্তিনগর এই ৯টি গ্রাম ও পানছড়ি উপজেলার কুয়াদিয়াছড়া, লোগাং, দুদুকছড়া, পুজগাং, বরকলক, বাবুরপাড়া, হারুবিল, মধুমঙ্গলপাড়া,দীঘিনালার ছোট মেরুং এবং মহালছড়ির নিম্নাঞ্চল  বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা সদর, পানছড়ি,দীঘিনালা ও মহালছড়ি উপজেলায়  প্রায় ২০ হাজারের মতো মানুষ পানিবন্দি রয়েছে।

এদিকে ছড়ার পানি বৃদ্ধি পাওয়া খাগড়াছড়ি শহরের মুধুপুর বাজারের ৭টি দোকান ডেবে গেছে। দেবে যাওয়া  দোকান মালিকরা জানান, রাতেই ছড়ার পানি বেড়ে ধারক দেয়াল ভেঙ্গে যারয়ায় সাতটি দোকান ডেবে যায়। ক্ষতি গ্রস্থ হয় চলাচলের রাস্তা।  তবে রাতে ডেবে যাওয়ার কারনে বড় ধরনের কোন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, জেলা সদরে শিশু সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, গোলাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদ, এমএ হক গঞ্জপাড়া মাদ্রাসা, টিটিসি, জেলা প্রশাসন ডরমেন্টরি, মুসলিম পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫৬৯টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে।

জেলা প্রশাসন ডরমেন্টরি আশ্রয় নেয়া মরিয়ম বিবি,আমজাদ হোসেন ও  মো. মনির হোসেনের জানান, মঙ্গলবার রাতে আশ্রয় কেন্দ্রে পরিবারের সদস্যরা থাকলেও তারা থাকেননি। কেননা বাড়িতে হাঁস-মুরগি ও অন্যান্য জিনিসপত্র রয়েছে। শুধু যানমালের কথা চিন্তা করলেতো হবেনা, বাড়ির কথাও ভাবতে হবে- জানান তারা।

খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, জেলায় মোট ৫৪টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হলেও ১৭টি আশ্রয় কেন্দ্রে লোকজন আশ্রয় নিয়েছে। এর মধ্যে জেলা সদরে ১০টি, পানছড়িতে ২টি ও দিঘীনালায় ৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে মোট ৬৪১টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার ও পানির ব্যবস্থা রয়েছে। 

সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি সদর জোনের পক্ষথেকে সদর উপজেলার গঞ্জপাড়া এলাকার আশ্রয়গ্রহনকারী  সাড়ে ৫শ মানুষের মাঝে  খাবার বিতরণ করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি জনস্বাস্থ্য ও প্রকৌশল বিভাগ বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও পানির জার বিতরণ করেছে।
খাগড়াছড়ি মহালছড়ি সড়কের ২৪ মাইল ও চোংড়াছড়ি এলাকার রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি ও রাঙ্গামাটি  আঞ্চলিক সড়কে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে। মেরুং এর সাথে দীঘিনালা উপজেলার সড়ক যোগাযোগও বন্ধ রয়েছে।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পাহাড় ধসে দীঘিনালার বাবুছড়ার দুর্গম উল্টাছড়ি গ্রামে  নিহত যুগেন্দ্র চাকমা (৪০)  পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে ২০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়েছে।