প্রবল বর্ষণে পানছড়ির দুধুকছড়া ফুট ব্রীজ ভেঙ্গে সড়ক যোগাযোগ ব্যাহত

প্রকাশঃ ১০ জুলাই, ২০১৯ ১২:৩৪:১৭ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০১:১৬:০৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। অবিরাম ভারী বর্ষণে ও পাহাড়ী ঢলের খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কয়েক কোটি টাকা।

পানছড়ি উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়- ভেঙ্গে গেছে দুধুকছড়া ফুট ব্রীজ, নদীর গর্ভে বিলীন হচ্ছে  উপজেলার চেংগী ইউপি কার্যালয়। পাহাড় ধসে উপজেলার মুনিপুর-তারাবন সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে ।  চেঙ্গী ইউনিয়নে ৭টি বসতবাড়ী বন্যার পানিতে ভেঙ্গে যাওয়াসহ ৩৬টি পরিবার, লতিবান ইউনিয়নের ৪টি পরিবারে প্রায় সহ¯্রাধিক মানুষ পানি বন্ধী হয়েছে পড়েছে।

ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য পূজগাং মূখ উচ্চ বিদ্যালয়, লতিবান ইউনিয়ন কার্যালয়ে আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে। পানি কমে যাওয়ায় পূজগাং মূখ উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রিতরা নিজ নিজ ঘরে চলে গেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে চেঙ্গী ইউনিয়নে।

চেঙ্গী ইউপি চেয়ারম্যান কালা চাঁদ চাকমা জানান,  সোমবার রাতে নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে উপজেলার চেংগী ইউপি কার্যালয়। বানের পানিতে ভেঙ্গে গেছে  মধু মঙ্গল পাড়ার চন্দ্র জয় চাকমা, বিনয় চাকমা, জীবন্ত চাকমা, ধন্য চন্দ্র পাড়ার তক্ক চাকমা, মনজাঙ্গা চাকমা, বেঙ পেদা চাকমা, কিনাধন বৈদ্য পাড়ার তুকি চাকমার বসতবাড়ী । মুনিপুর-তারাবন সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন শতশত লোক আসা-যাওয়া করে। যান চলাচল বন্ধ থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।

দুধুকছড়া ফুটব্রীজটি মাঝখানে পিলার দুটি নদীর গর্ভে চলে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ব্রীজ দিয়ে লোগাং ও চেঙ্গী ইউপির প্রায় ২০ হাজার মানুষ আসা-যাওয়া করে। স্থানীয়রা জানান-প্রবল বর্ষণে পাহাড়ী ঢলের পানির ¯্রােতের কারণে  ব্রীজটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।  
পানছড়ি উপজেলা প্রকৌশলী অরুন কুমার দাস বলেন- ব্রীজটি এলজিইডি অধীনে হলেও ব্রীজটি আমাদের অধিদপ্তর থেকে করা হয়নি। ব্রীজটি পার্বত্য চুক্তির বছরে করা হয়েছে।

পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বলেন- ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের কাছে সরেজমিনে গিয়ে ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করা হচ্ছে। তাদেরকে সহযোগিতা করাসহ ব্রীজটি আসা-যাওয়ার উপযোগী ও মুনিপুর-তারাবন সড়ক স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।