পাহাড় ধসে দীঘিনালায় ১ জনের মৃত্যু

প্রকাশঃ ০৯ জুলাই, ২০১৯ ১১:২০:৩০ | আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০৯:২৮:২৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। একটানা প্রবল বর্ষনে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার বাবুছড়ার দুর্গম উল্টাছড়ি গ্রামে  যুগেন্দ্র চাকমা (৪০) (পিতা: শুভধন চাকমা ) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। বাবুছড়া ইউপি চেয়ারম্যান  সন্তোষ জীবন চাকমা মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘরসহ পাহাড় ধসে পড়ার কারণে এ প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

এদিকে জেলা শহরের শালবন এলাকায় পাহাড় ধ্বসের ঝুকিতে থাকা ৩০টি পরিবারকে  বিকেলে সেনাবাহিনী ও পুলিশের সহায়তায় উদ্ধার করে শালবন টেক্সটাইল ভোকেশনাল আশ্রয় কেন্দ্রে  নেয়া হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শামসুন নাহার নেতৃত্বে নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, রেডক্রিসেন্ট’র স্বেচ্ছাসেবীসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তাদের প্রাণহানির শঙ্কায় আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করেন। রাতে বৃষ্টিপাত  না হলে সকালে বাড়ী ঘরে ফিরতে পারবেন বলে  তাদের আশস্থ করেন।

এদিকে একটানা বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়ির নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। দুপুরের পর থেকে দ্রুত বাড়ছে চেঙ্গী,মাইনী ও ফেনী নদীর পানি। আকস্মিক বন্যায় চেঙ্গী নদীর পানি নদীর দু’কুল উপচিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় জেলা শহরের নিম্নাঞ্চলের ৫ গ্রামের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। শতাধিক পরিবার বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভার প্যানেল মেয়র মো: জাফর আহম্মদ আশ্রয় নেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেলা শহরের গঞ্জপাড়া, মুসলিমপাড়া,বটতলী,কালাডেবা,বাঙ্গালকাটি,রাজ্যমনিপাড়া, ফুটবিল,মেহেদীবাগসহ কয়েকটি গ্রাম ইতোমধ্যে নিমজ্জিত হয়েছে। খাগড়াছড়ি মহালছড়ি সড়কের ২৪ মাইল ও চোংড়াছড়ি এলাকার রাস্তা তলিয়ে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-মহালছড়ি ও রাঙ্গামাটি  আঞ্চলিক সড়কে যোগাযোগ ব্যাহত হচ্ছে।

দুপুরে জেলা শহরের শিশু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রসহ অন্যান্য আশ্রয়কেন্দ্রগুলো পরিদশর্ন করেছেন জেলা প্রশাসক মো: শহিদুল ইসলাম। এসময় দুর্গতদের মাঝে শুকনো খাবার বিতরণ করেছেন তিনি।

জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে।  জেলা শহরে ৮টিসহ পুরো জেলায় খোলা হয়েছে ৪৫টি আশ্রয়কেন্দ্র।

দুর্যোগ থেকে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে জেলা প্রশাসনের পক্ষথেকে প্রস্তুতি সভা করে কুইক রেন্সপন্ড টিম গঠন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, আনসার, ফায়ার সার্ভিস,রেডক্রিসেন্টসহ স্বেচ্ছাসেবক দল প্রস্তত করে রাখা হয়েছে।