কাপ্তাইয়ে পাহাড় ধব্বসে শিশুসহ ২জনের মৃত্যু, নিরাপদ আশ্রয় যেতে প্রশাসনের মাইকিং

প্রকাশঃ ০৮ জুলাই, ২০১৯ ০৬:২৬:৪২ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৫:৪১:৪২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে গতকাল সন্ধ্যা থেকে হালকা ও মাজারি ধরনের থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে করে পাহাড় ধসের আশঙ্কা করা হচ্ছে। তাই পাহাড়ের পাদদেশে ঝূঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদের নিজ দায়িত্বে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার নির্দেশ জানিয়ে শহর জুড়ে মাইকিং করছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন।

রোববার  দুপুর থেকে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ মাইকিং করা হচ্ছে।

মাইকিংয়ে বলা হয়, টানা বর্ষণের কারণে রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে বসবাসকারীদেরকে নিজ দায়িত্বে নিরাপদ স্থানে সরে যাওয়ার আহ্বান জানানো হচ্ছে। অন্যথায় প্রশাসন তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করবে। বৃষ্টির কারনে রাঙামাটি চট্টগ্রাম সড়কে রাস্তার উপর মাটি ভেঙ্গে পড়লেও সড়ক বিভাগ যানবাহন চলাচল সচল রেখেছে।

এদিকে বেলা ১২টার দিকে কাপ্তাইয়ের কেপিএম এলাকার কলাবাগানের মালিবাগানে বসত ঘরের উপর মাটি চাপা ২জন মারা গেছে। এরা হলো উজ্জল মল্লিক (৩) তাহমিনা আক্তার (২৫)। পরে স্থানীয়রাসহ ফায়ার সার্ভিসের লোকজন তাদের উদ্ধার করে।  

রাঙামাটি আবহাওয়া পর্যাবেক্ষন কেন্দ্রের তথ্য মোতাবেক, ৭জুলাই সকাল ৬টা থেকে ৮ জুলাই সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ১৭০ মিলিমিটির বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।

এদিকে সরজমিনে শিমুলতলী, টিভি সেন্টার, নতুনপাড়াসহ বেশ কয়টি ঝুকিপুর্ণ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে এখনো মানুষজন বসবাস করছে। কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি, তবে ঝুকিপুর্ণ এলাকার লোকজন বলছে বৃষ্টি বাড়লে তারা আশ্রয় কেন্দ্রে যাবেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সনের বছরের ১৩ জুন রাঙামাটিতে পাহাড় ধসে সেনা সদস্যসহ ১২০ জন মৃত্যু হয়েছে এবং ২০১৮ সনের  ১২জুন রাঙামাটি নানিয়ারচর উপজেলায় পাহাড় ধসে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া পাহাড় ধসের কারণে জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।


জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে, ত্রান ও দুর্যোগ মন্ত্রনালয় থেকে দুর্যোগ মোকাবেল নগদ টাকা ও খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়া আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার বিতরণ করার জন্য প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসক আরো জানান, যদি বিকালের মধ্যে যদি বৃষ্টি না কমে আর ঝুকিপুর্ণ এলাকার লোকজন যদি আশ্রয় কেন্দ্রে না যায় তাদের জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে। আমরা কোন ধরনের প্রাণহানি চাই না।