প্রকাশঃ ২০ জুনe, ২০১৯ ১২:৫৩:৫৫
| আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০৬:৪০:২৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। জেলা শহরের খাগড়াপুুর এলাকার সেফটি ট্যাংক থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার প্রভাকর ত্রিপুুরা রানা (২৬) হত্যার রহস্য উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ।
লাশ উদ্ধারের কয়েক ঘন্টার মধ্যেই আটক বড় ভাই চিরঞ্জীব ত্রিপুরাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। বিকেলে পুলিশ তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে হত্যায় ব্যবহৃত আলামত হাতুড়ী উদ্ধার করে। হাতুড়ী দিয়ে আঘাত করেই প্রভাকরকে হত্যা করা হয়েছিল। লেখপড়ার জন্য টাকা চাওয়ায় এবং পারিবারিক সম্পত্তির ভাগ না দিতেই চাকুরীর কথা বলে ডেকে এনে হত্যা করা হয়েছে বলে জিজ্ঞাসাবাদের উদ্ধৃতি দিয়ে নিশ্চিত করেছেন অতিরিক্ত পুলিশ এম এম সালাহ উদ্দিন।
বৃহষ্পতিবার সকাল ১১টায় নিহতের বড় ভাইয়ের নিজ বাসার পিছনের নির্মানাধীন একটি সেফটি ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার পুলিশ। প্রভাকর ঢাকা বাংলা সরকারি কলেজের সমাজকর্ম বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। সে খাগড়াপুরের মৃত সুরেন্দ্র ত্রিপুরার ছেলে।
নিহতের স্বজনেরা জানান, মঙ্গলবার রাতে ভাইয়ের বাড়ীতে ঘুমায় প্রভাকর। বুধবার সকাল থেকে তার খোজ খবর না পাওয়ায় এবং বাড়ীর পেছনের দরজায় রক্তের দাগ দেখে বিভিন্ন জায়গায় খোজাখুজি করলেও হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। বৃহস্পতিবার সকালে বড় ভাই চিরঞ্জিত ত্রিপুরার বাসার পিছনে নির্মানাধীন সেফটিক ট্যাংক এ লাশের খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
লাশ উদ্ধারের পর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এমএম সালাহউদ্দিন ‘নিহতের ঘাড়, মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ থাকার কথা জানিয়ে বলেন, তদন্ত শুরু হয়েছে। রহস্য উদ্ধার করতে আমরা সক্ষম হবো।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
বন্ধু বৎসল, ক্রীড়ানুরাগী প্রভাকর ত্রিপুুরা রানার মৃত্যুর খবরে তার বন্ধুমহলসহ স্বজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তার এ অকাল মৃত্যু কোনভাবেই মেনে নিতে পারছিলা তারা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করে হত্যাকারীকে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবী জানান তারা।