রাঙামাটিতে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার বিষয়ক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৩ জুনe, ২০১৯ ০৬:৫৭:৫৯ | আপডেটঃ ২৩ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:৩৩:১৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। খাদ্যে ভেজাল ও রাসায়নিক বিষ প্রয়োগের কারণে দেশে প্রতি বছর অন্ততঃ আড়াই লাখ মানুষ ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছে। এ ছাড়া ২ লাখ ২০ হাজার মানুষ কিডনী রোগে এবং ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে পৌণে তিন লাখ মানুষ। উত্তরাঞ্চলের প্রায় ২ কোটি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে নানা ধরনের ক্রনিক রোগে।

বুধবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত ‘আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারবিষয়ক প্রশিক্ষণ’ শীর্ষক দিনব্যাপী এক কর্মশালায় এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

রাঙামাটি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের সভাকক্ষে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের নিয়ে এ প্রশিক্ষণের আয়োজন করেছে, কৃষি তথ্য সার্ভিসের রাঙামাটি আঞ্চলিক কার্যালয়। কৃষি তথ্য সার্ভিসের আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. নাসিম হায়দারের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মূল বিষয়ের ওপর আলোচনা করেন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের রাঙামাটি অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ প্রণব ভট্টাচার্য্য। এ ছাড়া বিশেষ অতিথি হিসেবে বিশেষ প্রবন্ধ ও গবেষণা প্রতিবেদন নিয়ে আলোচনা করেন, অধিদফতরটির আঞ্চলিক উপ-পরিচালক কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা, বিশেষ অতিথি ছিলেন রাঙামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন রুবেল। আলোচকরা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহার করে চাষাবাদ এবং মানবদেহে ক্ষতিকারক খাদ্যে ও কৃষিতে রাসায়নিক বিষক্রিয়া প্রতিকার নিয়ে বিসতারিত আলোকপাত করেন।

কর্মশালায় বারডেমের এক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, হাটবাজার ও শহরের আড়তগুলোতে দুধ, মাছ, মাংস, আঙ্গুর, কমলা, আপেল, পেঁপে, বরইসহ সব কিছুতে ফরমালিন মেশানো হয়। কয়েক দশক ধরে ফসল চাষাবাদে ও খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণে বিভিন্ন ধরনের অপ্রয়োজনীয় ও ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার হয়ে আসছে। খাদ্যের স্বাদ, গন্ধ, রং এবং সংরক্ষণকাল বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জৈব ও অজৈব রাসায়নিক পদার্থ ব্যবহার করা হয়। এসব ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ মানবদেহের ওপর বিশেষ করে শিশুদের ওপর দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। ভেজাল খাবার খাওয়ার ফলে হৃদরোগ, স্ট্রোক, ক্যান্সারের মতো অসংক্রামক রোগ অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমশঃ অসংক্রামক রোগের কারণে বিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষের মৃত্যু ঘটছে। ভেজাল খাদ্যের ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করে এসব ভেজালের বিরুদ্ধে সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।