থানচি উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল ১৫ জুন

প্রকাশঃ ১০ জুনe, ২০১৯ ০৬:৪১:০২ | আপডেটঃ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:১৯:৫৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানে থানচি উপজেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল ও সম্মেলন আগামী ১৫ জুন। নেতৃত্ব পরিবর্তনের নির্বাচন দেয়ার দাবি তৃণমূলের।   দলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব পরিবর্তনের কথা জানালেন সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির দায়িত্বরত নেতৃবৃন্দ।
দলীয় নির্বাচন পদ্ধতিতে গত ৬ জুন থেকে  ৮ জুন পর্যন্ত মনোনয়ন ফরম বিক্রয় শেষ তারিখ ছিল। ৯ জুন জমা দেয়া শেষ তারিখের সভাপতি পদে দুইজন ও সাধারণ সম্পাদক পদে একজন ফরম জমা দিয়েছে বলে সম্মেলন প্রস্ততি কমিটি জানালেন । এর মধ্যে সভাপতি পদে সাবেক সভাপতি বাশৈচিং হেডম্যান , সাবেক সাধারণ সম্পাদক মংবোওয়াংচিং মারমা প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে। অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক পদে সাবেক সহ সভাপতি উবামং মারমা মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছে। নির্বাচন পদ্ধতিতে প্রতিদ্বন্দ্বীতা না থাকায় উবামং মারমা  বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচিত  হয়েছেন বলে সংশ্লিষ্টরা জানান।

এ দিকে থানচি সদর ইউনিয়ন আ’লীগের  সভাপতি সাবেক রেমাক্রী ইউপি চেয়ারম্যান মালিরাং ত্রিপুরা  জানান, আমি গত ৮জুন সাধারণ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য  মনোনয়ন ফরম চেয়েছিলাম আমাকে ফরম দেয়া হয়নি।

দলীয় সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৯ সালে বাংলাদেশ আ’লীগের থানচি উপজেলা শাখা গঠিত হয় তৎকালীন সময়ের বীর মুক্তি যোদ্ধা মোঃ আক্কেল আলীকে সভাপতি, মরহুম নুরুল ইসলাম মেম্বারকে সাধারণ সম্পাদক ও মরহুম দীপক কান্তি দাশকে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়। সংগঠনের নিয়মনুসারে ৩ বছর পর পর কাউন্সিলের মাধ্যমে কমিটি পরিবর্তন হলে ও দীর্ঘ দিন পর ২০০৪ সালে যুবলীগের সফল সাধারণ সম্পাদক মংবোওয়াংচিং মারমাকে সাধারণ সম্পাদক পদে ও বীর মুক্তি যোদ্ধা মো. আক্কেল আলীকে সভাপতি করে ও দিপক কান্তি দাশ কে সাংগঠনিক সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয় ।

এক বছর পর সভাপতি মোঃ আক্কেল আলী অসুস্থতার কারণে সিনিয়র সহ সভাপতি বাশৈচিং হেডম্যান সংগঠনের সভাপতি পদে  দায়িত্ব পালন করেন। ২০১১ সালে ১৩ ডিসেম্বার (মঙ্গলবার) নির্বাচনের  তৃণমূলের  নেতা কর্মীদের ব্যালটের মাধ্যমে  পরিবর্তন আনে তখনকার সময়ের মংথোয়াইম্যা মারমা (রনি) সভাপতি ও উবামং মারমাকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ভোট দেন।  পরবর্তী মেয়াদ শেষ হলে ২০১৫ সালে ১৩ জুন এক বর্ধিত সভা আয়োজন করে উবামং মারমাকে  সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বাদ দিয়ে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ও সাবেক স্বেচ্ছা সেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক থোয়াইহ্লামং মারমাকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করেন। তখন থেকে তৃণমূল নেতা কর্মীদের মধ্যে নানা ক্ষোপ অসন্তোষ তেলবাঁজ  হাইব্রিট নেতা সৃষ্টি হয়। অপর দিকে বিএনপি জামাত ও জনসংহতি সমিতি নেতারা অনুপ্রবেশের সুযোগ পায়।

যুব লীগের সভাপতি সচীন ত্রিপুরা, ছাত্র লীগের সভাপতি জজ কলিন ত্রিপুরা, সাধারণ সম্পাদক উঅংছেন মারমা, কৃষক লীগের সম্পাদক হ্লাশৈমং মারমা জানান, উপজেলা আ’ লীগের সভাপতি/ সম্পাদক এমন ব্যক্তিকে চায় যিনি থানচি উপজেলা সদরের সর্বাক্ষনি অবস্থান করে । রাজনৈতি কাজ ব্যতিত তিনি কোন প্রকার অন্যত্র যাবে না এবং কর্মীবান্ধব, জনকল্যাণ মূলক কর্মসূচি  কর্মীদের স্বতষ্ফুর্ত অংশগ্রহনের মধ্য দিয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্তসহ জাতির পিতার নিতি আদর্শ  প্রধান মন্ত্রীর নির্দেশ মেনে চলবে তাকে আমরা অভিবাবক হিসেবে চাই ।

আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান অলসেন ত্রিপুরা, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মালিরাং ত্রিপুরা, উবামং মারমা, বলিপাড়া ইউনিয়ন সভাপতি সাথুইখয় মারমা, সম্পাদক নিহার বিন্দু চাকমাসহ অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, একজন নেতাকে সরকারি পদ হোক বা রাজনৈতিক পদ হোক একটাই পদে দায়িত্বে দিলে তিনি অবশ্যই সংগঠনের কাজ করবে। একজনকে একাধিক পদে দায়িত্ব দিলে পদ না পাওয়ার বেদনা অনেকে দলের থেকে দূরে সরে যায় দলের শৃঙ্খলা থাকে না। নির্বাচনের সময় পদ বঞ্চিতরা কাজ করতে চাইনা।

দলের সিনিয়র নেতারা মত দেন বিগত কমিটিতে সভাপতি মংথোয়াইম্যা মারমা (রনি) পার্বত্য মন্ত্রী মহোদয়ের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে দলের সময় দিলেও দল কেন্দ্রিক নয় । অপর দিকে সাধারণ সম্পাদক থোয়াইহ্লামং মারমা জেলা পরিষদের সদস্য তিনি ও একই রকম পরিস্থিতির কথা বলেন ।
সাংগঠনিকভাবে দলীয় নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে জানালেন কাউন্সিল ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক স্বপন কুমার বিশ্বাস। যে নির্বাচন করুক এবং বিজয়ী হোক তার পক্ষে কাজ করবেন বলে তিনি মত দেন।