প্রকাশঃ ০৪ মে, ২০১৮ ০১:৫৩:১৩
| আপডেটঃ ২১ নভেম্বর, ২০২৪ ১১:১০:০৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির নানিয়ারচর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শক্তিমান চাকমা হত্যাকান্ডকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে এ ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতু ও সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে সডক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সমসাময়িক বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের শুরুতেই শক্তিমান চাকমাকে হত্যার খবর আসে।
এই খবরে সংবাদ সম্মেলন থেকেই কাদের ফোন করেন রাঙামাটির এসপিকে।
তিনি বলেন, “শক্তিমানকে কি মেরে ফেলেছে? হি ইজ নো মোর। যারা খুন করেছে তাদের কি এখন তোমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছ না? কেউ কি অ্যারেস্ট হয়েছে?”
এরপরই ওবায়দুল কাদের এসপিকে বলেন, “না না, বি সিরিয়াস অ্যাবাউট ইট। কালপ্রিটদের খুঁজে বের করতেই হবে।”
পরে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, “লোকটা (শক্তিমান চাকমা) উপজেলা চেয়ারম্যান, আমার নিজের জেলায়ও না। কিন্তু ওর মৃত্যুতে আমার ভেতরে খুব তোলপাড় হচ্ছে। স্বাভাবিক মৃত্যু হলে কথা ছিল। ওখানে তো ইন্টারনাল প্রবলেম চলছে।”
শক্তিমান চাকমাকে গুলি করে হত্যা করা হয় বেলা সোয়া ১১টার দিকে উপজেলা সদরে। উপজেলা পরিষদের পাশে বাসা থেকে নিজের কার্যালয়ে যাওয়ার সময় তাকে গুলি করা হয়। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
শক্তিমানের সঙ্গে থাকা রুপম চাকমা নামের আরেকজন আহত হন। তিনি জনসংহতি সমিতির (এমএন লারমা) নানিয়ারচর উপজেলা কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক।
অ্যাডভোকেট শক্তিমান চাকমা ২০১০ সালে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (এমএন লারমা) নামে গঠিত নতুন দলে যোগ দেন। সংস্কারপন্থি এই নেতা ছিলেন ওই সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি। এছাড়া তিনি ওবায়দুল কাদের এর সময় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দায়িত্বও পালন করেন।
খবর বিডিনিউজ এর