কাপ্তাইয়ে জোড়া খুনের মামলায় ২ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে

প্রকাশঃ ১৬ মে, ২০১৯ ০৮:১০:৩৯ | আপডেটঃ ২১ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:৪৫:২৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির কাপ্তাইয়ে আওয়ামী লীগের দুই কর্মীকে গুলিতে হত্যার ঘটনায় করা মামলার এজাহারভূক্ত আসামি ওই উপজেলার দুই ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যানের জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে আদালত। তারা হলেন- রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান সায়া মং মারমা ও চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ক্যাইসা অং মারমা।

জানা যায়, বুধবার আত্মসমর্পণ করে জামিনের জন্য আদালতে হাজির হন, ওই দুই ইউপি চেয়ারম্যান। এতে তাদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দুই জনকেই গ্রেফতারের নির্দেশ দেন রাঙামাটির অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রে সাবরিনা আলী। এরপর তাদেরকে রাঙামাটি জেলা কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ৪ ফেব্রুয়ারি কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নের কারিগরপাড়ায় আওয়ামী লীগকর্মী মংসানু মারমা ও মোঃ জাহিদুল ইসলামকে গুলিতে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় নিহত মংসানু মারমার শ্বশুর আপ্রু মারমা বাদী হয়ে চন্দ্রঘোনা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২১ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়। এতে এজাহারভূক্ত আসামি রাইখালী ইউপি চেয়ারম্যান সায়া মং মারমা ও চিৎমরম ইউপি চেয়ারম্যান ক্যাইসা অং মারমা ঘটনার পর হাইকোর্ট থেকে ২ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন, কিন্তু জামিনের মেয়াদ শেষ হলেও তারা আদালতে হাজিরা না দিয়ে পলাতক ছিলেন। গতকাল আদালতে তারা জামিন চাইলে আসলে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করে।  

কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনা থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ওই জোড়া খুনের মামলায় যৌথবাহিনীর অভিযানে এর আগে ৮ আসামিকে গ্রেফতার করা হয়। মামলায় এ নিয়ে গ্রেফতার আসামির সংখ্যা ১০। এর আগে গ্রেফতার আসামি খোংসাথুই মারমা, তপন তালুকদার, আওয়াইং মারমা, উথোয়াইনু মারমা, মংসাপ্রু মারমা, সাচিং মং মারমা, তেজেন্দ্র তঞ্চঙ্গ্যা ও থুইচিং মারমা জেলহাজতে রয়েছেন।