বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের সাথে যৌথ বাহিনীর গুলি বিনিময়ে জ্ঞান শংকর চাকমা নিহত, অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার

প্রকাশঃ ০৩ এপ্রিল, ২০১৯ ১১:২৭:২২ | আপডেটঃ ০৫ মে, ২০২৪ ০১:৫২:৩৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার লেমুছড়ি সীমান্তে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপের সাথে যৌথ বাহিনীর সংঘর্ষে এক সন্ত্রাসী নিহত ও বিপুল অন্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে মায়ানমার সীমান্তের কাছে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সন্ত্রাসীর নাম জ্ঞান শংকর চাকমা (৪৫)। তার বাড়ি রাঙামাটি জেলায়। সে মুল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রধান অর্থ সংগ্রাহক বলে  প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।  এ ঘটনার পর ঐ এলাকা থেকে ৭টি এসএমজি, ১১টি ম্যাগজিন, ৪৩৭ রাউন্ড অস্ত্রের গুলি ও ৪ লক্ষ ৩৬ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

চট্টগ্রামের র‌্যাব ৭ এর একটি দল কৌশলে এ অভিযান চালায়। অভিযানে সহায়তা করে সেনাবাহিনী বিজিবির সদস্যরা।

জানা যায় ,গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে নির্বাচনী দায়িত্ব শেষে ফেরার পথে গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় ৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনার পর ঐ সন্ত্রাসী গ্রুপটি বান্দরবান সীমান্তে গা ঢাকা দেয় এমন খবর ছিল যৌথ বাহিনরি কাছে। সন্ত্রাসী গ্রুপটি মায়ানমার সীমান্ত থেকে অস্ত্র সংগ্রহ করে বান্দরবানের লেমুছড়ি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করার সময় যৌথ বাহিনীর সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলে জ্ঞান শংকর চাকমা নামের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়। অন্য সন্ত্রাসীরা গুলির মুখে পালিয়ে গেলেও ঘটনাস্থল থেকে ৭টি এসএমজি, ম্যাগজিন, গুলি ও চাদার টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনার পর ঐ এলাকাটি যৌথ বাহিনী ঘিরে রেখে সীমান্তে অভিযান চালাচ্ছে যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। সন্ত্রাসীরা যাতে সীমান্ত পার হয়ে মায়ানমারে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য গুরুত্বপূর্ন পয়েন্টগুলোতে টহল বাড়ানো হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা জানিয়েছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকির হোসেন মজুমদার জানান, সেনাবাহিনী, র‌্যাব, বিজিবি সদস্যরা যৌথভাবে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে। রাঙামাটির বাঘাইছড়ির হত্যাকান্ডর সাথে জড়িত সন্ত্রাসীরা সীমান্তে অবস্থান নেয়ার পর সেখানে অভিযান চালানো হয়।




প্রসঙ্গত ,গত ১৮ মার্চ রাঙামাটির বাঘাইছড়ির সাজেক থেকে নির্বাচনী কাজ শেষে প্রিসাইডিং অফিসারসহ অন্যান্যরা বাঘাইছড়ি সদরে ফেরার পথে একদল সন্ত্রাসী গাড়ি বহরে ব্রাশ ফায়ার করে। এতে সহকারি প্রিসাইডিং অফিসারসহ ৭ জন নিহত হয়। হামলাকারী সন্ত্রাসী গ্রুপটি পাালিয়ে বান্দরবান সীমান্তে অবস্থান নিলে তাদের সাথে বুধবার এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বলে নিরাপত্তা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তরা জানিয়েছেন।