“পার্বত্য চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা নিরাপত্তা হুমকিতে রয়েছে”

প্রকাশঃ ২৩ মার্চ, ২০১৯ ০১:৩৬:০৪ | আপডেটঃ ২২ মার্চ, ২০২৪ ০৬:২১:৪৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকারী আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পুলিশ ও আনসার সদস্যরা জীবনের নিরাপত্তার হুমকিতে রয়েছে। ঘটনাস্থলে যেসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্বে ছিলেন তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা ব্রাশ ফায়ার করেছিল। ঘটনার পর পুলিশ ও আনসার সদস্যরা ভয়ের মধ্যে আছে বলে তাদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি।

শুক্রবার বিকেলে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি ৭ খুনের ঘটনাস্থল ও প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে সাক্ষাত শেষে ফেরার পথে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কমিশনের পরিচালক আল মাহমুদ ফায়জুল কবীর খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষী ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন সকালে সুষ্ঠু ভাবে ভোট গ্রহণ চললেও ৯টার পর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি সন্তু গ্রুপ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বড় ঋষি চাকমার লোকজন ভোটারদের হুমকি প্রদর্শন করে এবং নির্বাচন বয়কট করে। এছাড়া নির্বাচনের আগের রাত থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্বাচনকে ঘিরে কোন অনিয়ম হলে তার দায় দায়িত্ব রাষ্ট্রকে নিতে হবে বলে হুমকি দেয়া হয়। ভোটগ্রহণ শেষে যখন বিজিবি গাড়ীসহ অন্য ৩ টি গাড়িতে করে ভোটের সরঞ্জাম, নির্বাচন সংশ্লিষ্ট জনবল ও প্রার্থীদের এজেন্টরা যাচ্ছিল তখনই হামলা ঘটনা ঘটে। এতে নিশ্চিত এটি নির্বাচনী সহিংসতা।

গত ১৮ মার্চ বাঘাইছড়ি উপজেলা পরিষদের নির্বাচন শেষে ফেরার পথে সন্ত্রাসীদের ব্রাশফায়ারে নিহত হয় ৭ জন এবং আহত হয় ২৯ জন। ঘটনার প্রেক্ষিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের সুয়োমোটো অভিযোগ গ্রহণ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন কমিশনের পরিচালক(অভিযোগ ও তদন্ত) আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীরকে আহ্বায়ক এবং রাঙামাটি কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক(আইন) মো: শাহ পরানকে সদস্য সচিব করে দুই সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সেনানিবাসে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীনদের সাথে কথা বলেন। আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিবে বলে জানিয়েছেন কমিটির আহ্বায়ক আল-মাহমুদ ফায়জুল কবীর।