স্ত্রী ও সন্তানের সামনে বিলাইছড়ি আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশঃ ১৯ মার্চ, ২০১৯ ০৯:৫২:৩৬ | আপডেটঃ ২৬ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:১১:১০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির বাঘাইছড়ির নয় মাইল এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে ৭জন নিহত হওয়ার চব্বিশ ঘন্টা না যেতেই মঙ্গলবার সকালে রাঙামাটির বিলাইছড়িতে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। এঘটনার জন্য আওয়ামীলীগ সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক দল  জেএসএসকে দায়ী করেছে।

নিহত সুরেশ কান্তি তংচঙ্গ্যার ছেলে নিরুপম তংচঙ্গ্যা জানান, নির্বাচনী কাজে তারা বিলাইছড়ির ফারুয়া যান, সেখান থেকে সকালে ফেরার পথে আলিক্ষ্যং এর কাছে পৌছলে বোটের ড্রাইভারকে প্রথমে ৩জনের একটি সন্ত্রাসী দল ডাকতে দেয়, বোট ভিড়ানোর পর সন্ত্রাসীরা আমাকে দুরে সরিয়ে রাখে এবং  আমার মায়ের পেটে লাথি মারে, পরে আমার বাবাকে দুইজন ধরে রাখে এবং একজন আমার বাবার বুকে ও পিঠে কয়েক রাউন্ড গুলি করে ঘটনাস্থলে আমার বাবা মারা যায়। আমাদের  সাথে কারো বিরোধ নাই মুলত রাজনৈতিক কারনে সন্ত্রাসীরা আমার বাবাকে হত্যা করে।
সন্ত্রাসীরা গুলি করার পর সুরেশ তংচঙ্গ্যার ছেলে নিরুপম তংচঙ্গ্যা স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের জানালে তারা থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে পোষ্ট মর্টেম করার জন্য রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে প্রেরন করে।

এদিকে আওয়ামীলীগ নেতা হত্যার খবর পেয়ে তাৎক্ষনিক দলীয় কার্যালয়ে জড়ো হয়  দলীয় নেতা কর্মীরা। লাশ রাঙামাটি পৌঁছার পর  দলীয় অফিসের সামনে রাস্তায় বসে বিক্ষোভ করে নেতা কর্মীরা।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা সাংবাদিকদের বলেন, একের পর এক আওয়ামীলীগ নেতা কর্মীদের হত্যা আর বরদাশত করা হবে না, উপজেলা নির্বাচনে আমাদের প্রার্থী পরাজিত হয়েছে, যেখানে আমরা আন্দোলন করব সেখানে জেএসএসের সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা কর্মীদের হত্যা করছে। আমাদের ধৈর্য্যর বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে।  আইন শৃঙ্খলাবাহিনী যদি অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেয় তাহলে আমরা প্রতিবাদ নয় এবার থেকে প্রতিশোধ নিব।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর অবিলম্বের অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়ে বলেন,এঘটনার প্রতিবাদে কাল (বুধবার) রাঙামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল হবে এবং কর্মসুচী গ্রহণ করা হবে।

বিলাইছড়ি থানার এসআই সাইফুল্লাহ জানান, ময়না তদন্ত শেষে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবারের কেউ মামলা না করলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করবে।