প্রকাশঃ ১০ মার্চ, ২০১৯ ০৬:২৩:২৭
| আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৩:৩৯:৩০
সিএইচটি টুডে ডট কম, সাজেক প্রতিনিধি (বাঘাইছড়ি) রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নে অবস্থিত দেশের অন্যতম পর্যটন স্পট সাজেকে আঞ্চলিক দলের বিধিনিষেধের কারনে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকলেও গত ৬মার্চ থেকে পানি সরবরাহ স্বাভাবিক হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি আঞ্চলিক মুল দল জেএসএস থেকে চাঁদার দাবিতে হোটেল মোটেল ও রেস্তোরাগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে নানা হুমকি দেয়, পরে গত ৬মার্চ থেকে পানি সরবরাহে তাদের পক্ষ থেকে বাঁধা দেয়া হয়নি, কোন রফা দফা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ব্যবাসায়ীরা মুখ খুলতে চায়নি।
রিসোর্ট-কটেজ মালিক সুত্রে জানা যায়, জেএসএস'র সাথে যোগাযোগ করে ৬ মার্চ বুধবার দুপুর থেকে সাজেকে বন্ধ থাকা রিসোর্ট কটেজে পানি সরাবরাহ শুরু করেছে এখন আর কোন বাধা নিষেধ নেই এতে রিসোর্ট মালিক পক্ষ স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলছে।
জানা যায় গত ১৭ জানুয়ারি মনটানা রিসোর্ট এন্ড রেস্টুরেন্ট ও রয়েল সাজেক, ২৮ ফেব্রুয়ারি মেঘালয় রিসোর্টে ও হিমালয় রিসোর্ট, ২ মার্চ গরবা রিসোর্টে, মেঘ কাব্য রিসোর্ট, সাজেক মেঘ বিলাস ও আল মদিনা রেস্টুরেন্ট, ৩ মার্চ বিসমিল্লাহ রেস্টুরেন্ট ও মহসিন রেস্টুরেন্ট এবং মঙ্গলবার (৫ মার্চ) মেঘ মাচাং রিসোর্ট, মেঘ পুন্জি রিসোর্ট, মৈত্রী রিসোর্ট, ড্রীম সাজেক রিসোর্ট, দার্জিলিং রিসোর্ট ও এভারেস্ট রিসোর্টে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেএসএস (সন্তু) সাজেকের এরিয়া কমান্ডার প্রমিজ চাকমা ওরফে প্রমেস চাকমা রিসোর্টগুলোতে পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়ার জন্য জীপ গাড়ির ড্রাইভারদের নিষেধ করে দেয়।
এমতাবস্থায় রিসোর্ট পানি সরাবরাহ বন্ধ থাকায় মালিকরা তাদের পুর্বের পাওয়া বুকিংগুলো বাতিল করে দিয়েছিলেন, এখন আবার সেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
সাজেকের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় সাংবাদিক মো: জুয়েল আহমদ জানান, প্রায় মাস খানেক পানি সরবরাহ বন্ধ করে দেয়ায় ব্যবসায়ীদের লাখ লাখ লস টাকা গুনতে হয়। বর্তমানে সব কিছু স্বাভাবিক রয়েছে।
সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ণ ত্রিপুরা জানান, চাঁদা দাবিতে মুলত পানি সরবরাহ বন্ধ ছিল, এখন সবকিছু স্বাভাবিক রয়েছে, তবে পর্যটন এলাকাকে রাজনীতির বাইরে রাখা দরকার, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করতে না পারলে তারা এলাকা ছেড়ে চলে যাবে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা জেএসএস’র সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান বড় ঋষি চাকমা বলেন, জেএসএস গনতান্ত্রিক আন্দোলন করে চাঁদাবাজি করে না, তবুও আমরা খবর নেব।
সাজেক থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুরুল আনোয়ার জানান, আমরা লোকমুখে শুনেছি, কেউ থানায় অভিযোগ করেনি, তবে গত সপ্তাহে সমস্যার সমাধান হয়েছে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, সমৃদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ১৮শ’ ফুট উচ্চতায় গড়ে ওঠা এই পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পানি সরবরাহ/সংগ্রহ করা হয় পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত ঝরণা এবং ছড়া থেকে। ঝরনা ও ছড়া থেকে নেয়া পানি বোতল বা কন্টেইনারে করে চাঁদের গাড়ীতে করে সাজেকের রির্সোটগুলোতে নেয়া হয়।