প্রকাশঃ ১৩ জানুয়ারী, ২০১৯ ০৩:২৮:৪২
| আপডেটঃ ২২ নভেম্বর, ২০২৪ ০৪:১২:১০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পর্যটকের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠছে পার্বত্য পর্যটননগরী রাঙ্গামাটি। শহরসহ আনাচে-কানাচে বিনোদন ও দর্শনীয় স্পটগুলোতে এখন পর্যটকদের সরব উপস্থিতি লক্ষণীয়। প্রতি বছর বর্ষার পরপরই পর্যটন মৌসুম শুরু হলেও এবার সদ্য সমাপ্ত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে শুরুর দিকে পর্যটকের আগমণ ছিল কিছুটা কম। নির্বাচন চলাকালে কিছুটা ভাটা পড়লেও নির্বাচনের পরপরই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে রাঙামাটি পাড়ি দিচ্ছেন পর্যটকরা। নৈসর্গিক প্রকৃতির হাতছানিতে আগমণ ঘটছে প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসু মানুষের।
প্রতি শুক্র ও শনিবারসহ সরকারি ছুটির দিনগুলোতে রাঙামাটির পর্যটন স্পটগুলোতে ভির জমছে ভ্রমণপিপাসু লোকজনের। বৃহস্পতিবার থেকে ঘটছে পর্যটকের আগমণ। সরেজমিনসহ পর্যটনসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সূত্রে এসব তথ্যচিত্র জানা যায়।
তবে কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী নির্বাচন চলাকালীন সম-সাময়িক কয়েকদিন ছাড়া রাঙামাটির পর্যটনে তেমনটা নির্বাচনী নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। নির্বাচনী প্রচারণার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে পর্যটকদের পদচারণায় মুখর ছিল পার্বত্য পর্যটননগরী রাঙামাটি।
সরকারি পর্যটন বিভাগের রাঙামাটি পর্যটন ও হলিডে কমপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক সৃজন বিকাশ বড়–য়া বলেন, নির্বাচনের কারণে চলতি মৌসুম শুরুর দিকে পর্যটন কমপ্লেক্সে পর্যটকের আগমণ আশানুরুপ সামান্য কম হলেও তেমন কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারেনি। এখন তো জানুয়ারি। পর্যটনের ভরা মৌসুম। তার ওপর এরই মধ্যে নির্বাচন সম্পন্ন হয়ে গেছে। বর্তমানে প্রচুর সংখ্যক পর্যটকের আগমণ ঘটছে রাঙামাটিতে। রাঙামাটি পর্যটন হলিডে কমপ্লেক্সে এখন বুকিং থাকছে প্রায় শতভাগ। সরকারি সাপ্তাহিক ছুটির দিন প্রতি শুক্র ও শনিবার পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকছে রাঙামাটি পর্যটন কমপ্লেক্স। কমপ্লেক্সের বাইরেও জমছে পর্যটকদের কোলাহল। পর্যটন কমপ্লেক্সে রাজস্ব আয় এখন মোটামুটি ভালো।
স্থানীয় আবাসিক হোটেল ব্যবসায়ী ও ‘হোটেল প্রিন্স’এর মালিক নেছার আহমদের বক্তব্যও একই। তিনি জানান, তার হোটেলে আগত পর্যটকদের টানা বুকিং চলছে। নির্বাচনের পরপরই প্রচুর বুকিং শুরু হয়েছে। আসছেন বিদেশী পর্যটকও। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে পর্যটকদের উপচেপড়া ভির লক্ষণীয়। তা ছাড়া সদ্য নির্বাচনেও তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি রাঙামাটির পর্যটন খাতে।
রাঙামাটি ট্যুরিষ্ট পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ মাকসুদ জানান, পর্যটকদের নিরাপত্তা দিতে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ট্যুরিষ্ট পুলিশ দায়িত্ব পালন করছে। এখনো পর্যন্ত কোথাও কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি, সবাই সুন্দরভাবে রাঙামাটি শহর ঘুরছেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, কাপ্তাই হ্রদে নৌ-ভ্রমণ করছেন প্রচুর পর্যটক। ছুটছেন শহরসহ আনাচে-কানাচের বিভিন্ন পর্যটন ও বিনোদন স্পটে। রাঙামাটি সরকারি পর্যটন কমপ্লেক্স ছাড়াও সেখানকার মনোরম ঝুলন্ত সেতু, ডিসি বাংলো পার্ক, জেলা পুলিশের পলওয়েল ও লাভপয়েন্ট স্পট, সুবলং ঝরনা স্পট, আরণ্যক, পেদাটিংটিং, টুকটুক ইকোভিলেজ, বেড়ান্যে লেক, বড়গাং, মুন্সী আবদুর রউফ স্মৃতিসৌধ, সুখী নীলগঞ্জ, রাজবন বিহার, চাকমা রাজার বাড়িসহ প্রচুর দৃষ্টিনন্দন ও বিনোদন কেন্দ্রসহ রাঙামাটি শহরের আনাচে-কানাচের স্পটগুলো পর্যটকদের সরব উপস্থিতিতে মুখর। কাপ্তাইয়ের জাতীয় উদ্যাণ, নৌবাহিনী পর্যটন স্পট, শিলছড়ি স্পট, বিজিবি স্পট, বনশ্রী পর্যটন স্পটসহ বিভিন্ন জায়গায় ছুটছেন পর্যটকরা। পাড়ি জমাচ্ছেন ভারতের মিজোরাম সীমান্তবর্তী বাঘাইছড়ির সাজেক পর্যন্ত গিয়ে।