গণিত জয়ের উৎসবে পাহাড়ের শিক্ষার্থীরা

প্রকাশঃ ১২ জানুয়ারী, ২০১৯ ১০:৫৮:৫১ | আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৬:৩১:৩৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ‘গণিত শেখো, স্বপ্ন দেখো’ স্লোগান সামনে রেখে গতকাল শুক্রবার খাগড়াছড়িতে অনুষ্ঠিত হয় ডাচ-বাংলা ব্যাংক-প্রথম আলো গণিত উৎসবের বাছাইপর্ব। পৌষের হাড় কাপানো শীতের সকাল থেকে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের পদচারণে মুখর হয়ে ওঠে খাগড়াছড়ি সরকারী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণ। উৎসবে অংশ নিতে আসা শিক্ষার্থীদের ছিল আগ্রহ-উদ্দিপনা আর গণিত জয়ের স্বপ্ন। বাচাই পর্বে জেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৩২১জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহন করেছে। অনুষ্ঠানে সার্বিক পরিচালনা করেন খাগড়াছড়ির বন্ধুসভার সদস্যরা।

শিক্ষার্থীদের গাণিতিক মেধার উৎকর্ষ বৃদ্ধি ও ২০১৯সালে ইংল্যান্ডের অনুষ্ঠেয় ৬০তম আন্তর্জাতিক গণিত অলিম্পিয়াডের (আইএমও) জন্য বাংলাদেশ দল নির্বাচনের লক্ষ্যে দেশব্যাপী এ গনিত উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। প্রথমে ৬৪ জেলায় বাছাই অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হবে। বাছাই অলিম্পিয়াডের ফল ঘোষণা করা হবে গণিত অলিম্পিয়াডের ওয়েবসাইটে (www.matholympiad.org.bd)

বাছাইপর্বের বিজয়ীদের নিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ১২টি শহরে অনুষ্ঠিত হবে আঞ্চলিক পর্ব। তারপর আঞ্চলিক পর্বের বিজয়ীদের নিয়ে মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় উৎসব। ডাচ-বাংলা ব্যাংকের পৃষ্ঠপোষকতায় ও প্রথম আলোর ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির আয়োজনে ১৭তম বারের মতো এই গণিত অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

আজ সকাল ৯ টায় জাতীয় সংগীত ও বেলুন উড়ানোর মাধ্যমে উৎসব মূখর পরিবেশে শুরু হয় অনুষ্ঠান। বাছাই পর্বে খাগড়াছড়ি বন্ধুসভার সভাপতি প্রভাত তালুকদারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি খাগড়াছড়ি সরকারী মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. শাহ আলমগীর উদ্ধোধন করেন।

খাগড়াছড়ি বন্ধুসভার সাধারন সম্পাদক মো. রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে বক্তব্য দেন খাগড়াছড়ি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্রীলা তালুকদার, বন্ধুসভার সাবেক সা: সম্পাদক এম রাশেদুল হক এবং খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জয়ন্তী দেওয়ান।  

শিক্ষার্থীদের সাধুবাদ জানিয়ে অতিথিরা বলেন, গণিত মানুষকে উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করে। গণিত মানুষকে সমস্যার সমাধান করতে শেখায়। খাগড়াছড়ির শিক্ষার্থীরা বাছাই পর্ব থেকে উত্তীর্ণ হয়ে দেশ সেরা এমনটি প্রত্যাশা করেন তারা।   

দুর্গম পাহাড়ি এলাকা মাটিরাঙ্গা শান্তিপুর থেকে সন্তানকে নিয়ে এসেছেন অভিভাবক জি এম সারোয়ার তিনি জানান, প্রথম আলো পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দেখে ছেলের আগ্রহ প্রকাশ করায় তিনি ছেলেকে নিয়ে এসেছেন।



শিক্ষার্থী আর্য্য রত্ন চাকমা জানায়, গত বছর প্রথম আলো গণিত উৎসরে অংশগ্রহন করে তৃতীয় হয়েছে এবার এর চাইতে ভালো করার আশায় সে প্রস্তুতি নিয়ে পরীক্ষা দিতে এসেছে।