তক্ষক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির জেরে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় যুবলীগ নেতা খুন! আটক ৪

প্রকাশঃ ১৯ এপ্রিল, ২০১৮ ১১:২০:৪২ | আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০৩:২৪:৫২
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। তক্ষক ব্যবসা, চাঁদাবাজি এবং টাকার ভাগ ভাটোয়ারা নিয়ে খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালায় যুবলীগ নেতা মোশারফ হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ । হত্যাকারী চার যুবলীগ কর্মীর স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আজ বৃহস্পতিবার সকালে হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত  আলামত উদ্বার করেছে পুলিশ। হত্যাকারীদের ফাঁসি ও তাদের সহযোগিদের গ্রেফতারের দাবীতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেছে সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ।

পুলিশ জানায়, তক্ষক ব্যবসা ও চাঁদাবাজির দ্বন্দ্বে গত শুক্রবার(১৩ এপ্রিল) রাতে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেনকে এলোপাথারী কুপিয়ে হত্যার পর লাশ গুম করার উদশ্যে পরিত্যক্ত  প্রায় ৭০ ফুট গভীর রিং টিউবওয়েলের গর্তে ফেলে দেওয়া হয়। ঘটনার দু’দিন পর স্থানীয় লোকজন রক্ত দেখে পুলিশে খবর পুলিশ চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি ফায়ার সার্ভিসের সহযোগিতায় ১৫ এপ্রিল ঐ গর্ত থেকে মোশাররফ হোসেনের লাশ উদ্বার করে। পরে মোবাইল প্রযুক্তি ব্যবহার করে  বুধবার বিকালে হত্যাকান্ডের মুল পরিকল্পনাকারী ফজর আলীকে চট্টগ্রামের হাটহাজারী থেকে আটক করা হয়। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিকে দীঘিনালা উপজেলার রশিকনগর এলাকা থেকে অপর তিন হত্যাকারীকে আটক করে দীঘিনালা থানার পুলিশ।

যুবলীগ নেতা মোশাররফ হোসেন হত্যাকারীদের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সহ¯্রাধিক নারী-পুরুষ দীঘিনালা থানার সামনে জমায়েত হয়ে হত্যাকারীদের ফাাঁসি ও তাদের আরো কয়েকজন সহযোগির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগ এনে গ্রেফতারের দাবীতে বিক্ষোভ করে। তারা দ্রুত সময়ের মধ্যে মোশাররফ হোসেন হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন করায় পুলিশকেও ধন্যবাদ জানায়।


বৃহস্পতিবার দীঘিনালা থানার সামনে এক প্রেস ব্রিফিং-এ খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আলী আহমেদ খান জানান, মূলত তক্ষক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি দ্বন্দ্বের জেরে পরিকল্পিতভাবে মোশাররফ হোসেনকে হত্যার পর লাশ গুমের চেষ্টা হয়েছে। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরি, দা ওই রিং টিউবওয়েলে ফেলে দেয়া হয়। যা পুলিশ উদ্বার করেছে।

রাজনৈতিক চাপ না থাকলে এবং পুলিশ আন্তরিক হলে যে ঘটনার রহস্য উদঘাটন সম্ভব। দ্রুত সময়ের মধ্যে মোশাররফ হোসেন হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও সকল হত্যাকারীকের গ্রেফতারের মধ্য তা আবারও প্রমাণিত হলো।