প্রকাশঃ ০৯ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৫:৩৬:৩৭
| আপডেটঃ ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ০১:২২:১০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টের মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ের খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি একেএম মামুনুর রশিদ।
তিনি আরো বলেন, অতীতে এ জেলা থেকে অনেক জাতীয় খেলোয়াড় সৃষ্টি হয়েছে ভবিষ্যতেও এ ক্ষুদে খেলোয়ারদের মধ্য থেকে জাতীয় খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে।
রাঙামাটিতে জেলা পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ প্রাথমিক বিদ্যালয় ফুটবল টুর্নামেন্ট ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এসব কথা বলেন।
রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে শনিবার (৮ ডিসেম্বর) সকালে চিংহ্লামং চৌধুরী মারি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত টুর্নামেন্টে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম। এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ আলমগীর কবীর, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) শারমীন আলম’সহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী শিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন ।
উদ্বোধনী বক্তব্যে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টে দেশের প্রায় ৬৪ হাজার বিদ্যালয় থেকে ২১লক্ষ ছাত্র-ছাত্রী অংশগ্রহণ করে যা বিশ্বের অন্যকোন দেশে হয়না। তিনি বলেন, এটি একটি বৃহৎ ক্রীড়াঙ্গন এ ক্রীড়াঙ্গনের মাধ্যমেই মেয়েরা ফুটবল ও সার্ফগেমস্ এ অংশগ্রহন করছে এটি বঙ্গমাতা টুর্নামেন্টের সুফল। তিনি আরো বলেন, ২০১১ সালে বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতা ফুটবল টুর্নামেন্টে এ জেলা থেকে ক্ষুদে খেলোয়াড়রা তাদের ক্রীড়া নৈপূর্নের মাধ্যমে চ্যাম্পিয়ন ও পরে রানারআপ হয়ে এ জেলার সম্মান অক্ষুন্ন রেখেছিল। এবারো আশা রাখছি এ জেলার ক্ষুদে খেলোয়াড়রা জাতীয় পর্যায়ে ফাইনাল খেলায় অংশ নিতে পারবে। এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখার জন্য তিনি জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও খেলা পরিচালনাকারীদের আহ্বান জানান।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা খোরশেদ আলম জানান, জেলার মোট ১০টি উপজেলার ২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বালক ও বালিকা মোট ২০টি দল দুই টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে। এ থেকে সেরা দু’টি টিম বিভাগীয় পর্যায়ে অংশ নেবে। সর্বশেষ যে দু’টি দল তারা জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে।
উদ্বোধনী টুর্নামেন্টের ১ম ম্যাচে সদর উপজেলার নিউ রাঙামাটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের (বালক দল) ০২-০ গোলে বিলাইছড়ি উপজেলার দীঘলছড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে। খেলার ২য় ম্যাচে হিজাছড়ি ঢেবাছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় (বালিকা দল) ০৪-০ গোলে দক্ষিণ কুতুকছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়কে পরাজিত করে।
এর আগে অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় ও ক্রীড়া পতাকা এবং ফেস্টুন উত্তোলন করা হয় পরে বিদ্যালয়ের শিশু শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহনে উদ্বোধনী নৃত্য পরিবেশিত হয়।