সম্পদশালীর শীর্ষেও তালুকদার নিচেও তালুকদার; মাঝে দুই দেওয়ান

প্রকাশঃ ০৬ ডিসেম্বর, ২০১৮ ০৭:০০:০৮ | আপডেটঃ ০৮ মে, ২০২৪ ০৮:২০:২৯
হিমেল চাকমা, রাঙামাটি, সিএইচটি টুডে ডট কম। নির্বাচন কমিশনে রাঙামাটির হেভিওয়েট প্রার্থীরা সম্পদের বিবরণী জমা দিয়েছেন। এ তালিকায় সম্পদশালীর তালিকায় শীর্ষের আছেন আওয়ামীলীগ প্রার্থী দীপংকর তালুকদার। আর সবার নিচে বর্তমান সংসদ সদস্য জেএসএস নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী উষাতন তালুকদার। হলফনামা  তথ্যমতে কোটিপতি দীপংকরে বিপরীতে বাড়ি নেই উষাতনের। থাকেন আঞ্চলিক পরিষদ বিশ্রামাগারে। আর এদের মাঝখানে আছেন বিএনপির দুই মনোনয়ন প্রার্থী দীপেন দেওয়ান ও মনি স্বপন দেওয়ান।

দীপংকর তালুকদার

ইংরেজী বিষয়ে  স্নাতক সম্মান ডিগ্রীধারী দীপংকর তালুকদার। পেশায় সাধারণ ঠিকাদার ও কাঠ ব্যবসায়ী। তিনবারের সাবেক সংসদ ও সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীর বছরে বাড়ি, দোকান ও অন্যান্য ভাড়া থেকে বছরে আয় করেন ৫ লাখ ২ হাজার ৪শ টাকা। ব্যবসা থেকে আয় ৮৪ লাখ ১৩ হাজার ১৪৫ টাকা। শেয়ার, সঞ্চয়পত্র, ব্যাংক আমানত থেকে ৮ লাখ ৯৪ হাজার ৭৩২ টাকা।
অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় নিজের নগদ টাকা আছে ৫৭ লাখ ৭২ হাজার ৭৯৬ টাকা। স্ত্রীর আছে ১০ লাখ ২হাজার ৯০টাকা। ব্যাংকে নিজ নামে জমা আছে ৬ লাখ ৪ হাজার ৮৪৯ টাকা। স্ত্রীর নামে ১৬ লাখ ৬ হাজার ৪৮৬ টাকা। নিজের ও স্ত্রীর শেয়ার আছে ২ লাখ করে ৪ লাখ টাকা।
নিজ নামে স্থায়ী আমানত হিসেবে জমা আছে  ১ কোটি  ৬১ লাখ ৭৪ হাজার ২৬ টাকা। স্ত্রীর নামে ২০ লাখ টাকা। গাড়ির মূল্য ৬৩ লাখ ৪৮হাজার ১৪৮টাকা। স্বর্ণ আছে ২৫ ভরি। ঘরে ইলেট্রিক সামগ্রী আছে ৫ লাখ ৭শ টাকার। আসবাবপত্র আছে  ৪ লাখ ১৬ হাজার টাকার।
রাঙামাটি শহরের ৫ তলা দালান আছে একটি। যার আনুমানিক মূল্য ৮৮ লাখ ৩২ হাজার ২৩৩ টাকা। ঢাকায় সোবহানবাগে স্ত্রীর নামে  ফ্ল্যাট আছে একটি। যার আনুমানিক মূল্য ৮০ লাখ ১২ হাজার টাকা। কোন মামলা নেই। কল্পতরু হলিডে ইন লিমিটেড প্রকল্পের বিপরীতে অংশীদার বাবদ ঋণ আছে ১ কোটি ২৪ লাখ ৪১ হাজার ৭৯২টাকা।
স্থাবর সম্পত্তির তালিকায় গাজীপুর কালিগঞ্জে ৯ কাঠা ১৫ ছটাক ৩৮ বর্গফুট জমি আছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩৪ লাখ ৪৮ টাজার টাকা। চট্টগ্রামের হাটাজারিতে অনন্যা আবাসিক এলাকায় ৫ কাঠা জমি আছে। যার আনুমানিক মূল্য ৩৩ লাখ টাকা। স্ত্রীর নামে পিতা হতে দানপ্রাপ্ত ৫একর এবং ভাই থেকে দানপ্রাপ্ত ৩৪২৮.২০ বর্গফুট জমি আছে। প্রভাবশালী এ নেতার নামে আগেও কোন মামলা ছিল না বর্তমানেও মামলা নেই।

দীপেন দেওয়ান

স্নাতকোত্তর ডিগ্রীধারী সাবেক যুগ্ম জজ আইনজীবী দীপেন দেওয়ান। ব্যাংক আমানত থেকে বছরে আয় করেন ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা। আইনী পেশা থেকে আয় ২ লাখ। তার উপর নির্ভরশীলদের আয় ১৭ লাখ ৬৬ হাজার।
অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায় নিজের নগদ টাকা আছে ১ লাখ। স্ত্রীর আছে ৭০হাজার টাকা। নিজ নামে ব্যাংকে জমা আছে  ৫০ লাখ ২৪ হাজার ৪৫২ টাকা। স্ত্রীর নামে ৩১ হাজার ৭৭৯ টাকা। নিজ নামে সঞ্চয়পত্র আছে ৩০ লাখ টাকার। স্ত্রীর নামে আছে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকা। স্ত্রীর গাড়ির মূল্য ৪ লাখ টাকা। স্ত্রীর স্বর্ণ আছে ১০ ভরি। রুপা আছে ৭ ভরি। তার উপর নির্ভরশীলের আছে ৪ ভরি স্বর্ণ। ঘরে ইলেট্রিক সামগ্রীআছে ৯৯ হাজার টাকার। নির্ভরশীলের আছে একটি ল্যাপটপ। আসবাবপত্র আছে ১ লাখ ৫০হাজার টাকা। ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার একটি দ্বিতল ভবন আছে। গৃহ নির্মাণ ঋণ আছে ১৪ লাখ২৮ হাজার ৪৭৭ টাকা। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা বিচারাধীন আছে।

উষাতন তালুকদার

স্নাতক ডিগ্রীধারী বর্তমান সংসদ সদস্য উষাতন তালুকদের পেশা ব্যবসা।  নিজস্ব ঘর নেই। থাকেন আঞ্চলিক পরিষদের  বিশ্রামাগারে।
তিনি বছরে কৃষি থেকে আয় ৪ লাখ টাকা। ব্যবসা থেকে ৬ লাখ টাকা। সংসদ সদস্য হিসেবে পারিতোষিক ও ভাতা হতে আয় ২৬ লাখ ২৯ হাজার ২০টাকা।তার উপর নির্ভরশীলরা আয় করেন ৩ লাখ।
অস্থাবর সম্পত্তির তালিকায়  নগদ টাকা আছে ৩ লাখ। স্ত্রীর আছে ১ লাখ। তার উপর নির্ভরশীলের আছে ৫০ হাজার। ব্যাংকে নিজ নামে জমা আছে ৭হাজার ১৫৭ টাকা,স্ত্রীর নামে জমা  ৫ হাজার ৭৪৪টাকা। নির্ভরশীলের আছে ২৬হাজার ৩৪৭ টাকা।
স্থায়ী আমানতে নিজের নামে বিনিয়োগ ৩০ হাজার টাকা।স্ত্রীর নামে ১১লাখ ৯৯ হাজার ৮২ টাকা। স্ত্রীর ৮ ভরি স্বর্ণ আছে। ঘরে ইলেক্ট্রিক সামগ্রী আছে ৩ লাখ টাকার। আসবাবপত্র আছে ৩ লাখ টাকার।
স্থাবর সম্পত্তির নিজ নামে জমি আছে ১০ একর। যৌথ মালিকানায় ১২ শতক। তার উপর নির্ভরশীলের যৌথ মালিকানায় ৪ শতক এবং স্ত্রীর আছে ৯ শতক। কোন দায়দেনা নেই।  একটি মামলা ছিল। তা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

মনি স্বপন দেওয়ান

সাবেক সাংসদ সদস্য মনি স্বপন দেওয়ান পেশায় বাগান সৃজনকারী ও ছোট ব্যবসায়ী। উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা মনি স্বপনের কৃষি থেকে বছরে আয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা। ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার। ব্যাংক আমানত থেকে ৩ লাখ ২০হাজার।
অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজের নগদ টাকা আছে ১০ হাজার। ব্যাংকে জমা আছে ১৪ লাখ ৫০ হাজার (আনুমানিক)। স্ত্রীর নামে ব্যাংকে জমা আছে ৩০ লাখ। স্থায়ী আমানতে নিজ নামে বিনিয়োগ আছে ২০ লাখ এবং স্ত্রীর নামে আছে ৩৪লাখ ৫০ হাজার টাকা। পুরণো একটি গাড়ি ও একটি স্পীড বোট আছে। যার গাড়ির মূল্য ৭ লাখ এবং বোটের মূল্য ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা। স্ত্রীর ৫ভরি স্বর্ণআছে। ইলেক্ট্রিক সরঞ্জাম আছে ১ লাখ ৫০ হাজার, আসবাবপত্র আছে ১ লাখ টাকার।
স্থাবর সম্পত্তির মধে নিজ নামে আছে ১৮ একর জমি। যার মুল্য ২ লাখ টাকা। নিজস্ব ঘরের মূল্য ১৮ লাখ টাকা। যৌথমালিকানার ফলজ বাগান আছে ৫ লাখ টাকার। তাঁর বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই।