রাঙামাটিতে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই জলোৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৮ এপ্রিল, ২০১৮ ১১:০১:৩১ | আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০৩:২০:৫২

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বুধবার রাঙামাটিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে মারমা সম্প্রদায়ের সাংগ্রাই জলোৎসব। উৎসব পরিণত হয়েছে সম্প্রীতির মিলন মেলায়। উৎসবে মারমা সম্প্রদায়ের তরুণ-তরুণীদের ঐতিহ্যবাহী জলকেলি ছাড়াও পরিবেশিত হয় আবহমান বাংলার নৃত্যসঙ্গীতসহ বৈচিত্র্যপূর্ণ পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোর নান্দনিক সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে মাতে পাহাড়ি বাঙালি।
দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে মং (ধর্মীয় ঘন্টা) বাজিয়ে জেলা শহরের নারকেল বাগানে আয়োজিত দিনব্যাপী জলোৎসবের উদ্বোধন করেন, সাবেক পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার। অনুষ্ঠানে রাঙামাটির সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙামাটি রিজিয়ন কমান্ডার বিগ্রেডিয়ার জেনারেল গোলাম ফারুক, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও মারমা সাংস্কৃতিক সংস্থার প্রধান উপদেষ্টা চিংকিউ রোয়াজা, সদর জোন কমান্ডার লে; কর্ণেল রেদোয়ানুল হক, জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন, মারমা সংস্কৃতি সংস্থার সভাপতি ও জেলা পরিষদ সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাংগ্রাই উদযাপন কমিটি-২০১৮’এর আহবায়ক মংউচিং মারমা।
ঘন্টা বাজানোর সঙ্গে সঙ্গেই পানি ছিটিয়ে জল উৎসবের সূচনা করেন, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপঙ্কর তালুকদার। এতে মারমা তরুণ-তরুণীরা মেতে ওঠেন সাংগ্রাই জল উৎসবে। পরিবেশিত হয় বাংলাসহ পাহাড়ি জাতিসত্তাগুলোর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির নৃত্যসঙ্গীত।
দীপঙ্কর তালুকদার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার পাহাড়িদের আর্থ-সামাজিক, শিক্ষা-সংস্কৃতিসহ সবক্ষেত্রে  ব্যাপক উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখানকার মানুষের প্রতি অত্যন্ত আন্তরিক। যে কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর ঐতিহাসিক পার্বত্য শান্তিচুক্তি সম্পাদন করেছেন তিনি। কিন্তু কিছু মহল নানা ধরনের বিভ্রান্তিকর কথাবার্তা বলে সরকারের চলমান উন্নয়ন ও শান্তি প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার চেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। 
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন, পার্বত্য শান্তিচুক্তির আগে পাহাড়ি জনগণ স্বাধীনভাবে তাদের উৎসব পালন করতে পারত না। বর্তমানে প্রাণের উচ্ছ্বাসে উৎসব পালন করতে পারছে।