পাহাড়ে লিঙ্গ বৈচিত্র্য বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মসূচি আয়োজন করেছে অ্যাফাসার

প্রকাশঃ ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৩:১৯:৫৯ | আপডেটঃ ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫ ০৪:০৩:৫৪

সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক। পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর লিঙ্গ-বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেপার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসী লিঙ্গ-বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা সহনশীলতা বৃদ্ধিশীর্ষক একটি লিঙ্গ-সংবেদনশীলতা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে। অ্যাফাসার আয়োজনে এবং ক্যালেইডোস্কোপ ট্রাস্ট ইন্টারন্যাশনাল সহযোগিতায় এবং অস্ট্রেলিয়ান এইডের আর্থিক সহায়তায় আয়োজিত হয়।

 

খাগড়াছড়ির হোটেল হিল টপ- ১১ জানুয়ারি ২০২৫ অনুষ্ঠিত এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খাগড়াছড়ি মং সার্কেলের রানি উখেংচিং মারমা, মারমা উন্নয়ন সংসদের প্রতিনিধিত্বকারী রেডামা চৌধুরী, খাগড়াছড়ি সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটের পরিচালক ন্যু হ্লা মং মারমা, স্থানীয় মহিলা হেডম্যান, কারবারি, ধর্মিয় গুরু এবং আন্তঃলিঙ্গ লিঙ্গ-বৈচিত্র্যময় সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরাসহ অনেকে। 

 

কর্মসূচির আলোচ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল লিঙ্গ জৈবিক লিঙ্গের পার্থক্য, লিঙ্গ বৈচিত্র্যের বহুমাত্রিকতা, এবং হিজড়া আন্তঃলিঙ্গ সম্প্রদায়ের চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও, স্থানীয় ভাষায় (চাকমা, ত্রিপুরা, মারমা, তঞ্চ্যাগ্যা অন্যান্য) লিঙ্গ পরিচয় বৈচিত্র্যের বিষয় তুলে ধরা হয়। অংশগ্রহণকারীরা লিঙ্গ বৈচিত্র্যের প্রতি সংবেদনশীলতা অন্তর্ভুক্তির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেন।

 

স্থানীয় নেতৃবৃন্দ কর্মসূচিতে লিঙ্গ-অন্তর্ভুক্তিমূলক নীতিমালা বাস্তবায়নের অঙ্গীকার করেন। আয়োজকরা আশা করেন, এই উদ্যোগ পার্বত্য চট্টগ্রামের লিঙ্গ-বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর প্রতি বিদ্যমান সামাজিক বৈষম্য দূর করতে এবং একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ন্যায়বিচারভিত্তিক সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

 

মারমা মং সার্কেল রানী উখেংচিং মারমা বলেছেনসমাজ অনেকটাই আমাদের ঠিক করে দেয় আমরা কি শিখবো, কি জানব বা কি শিখব না। আফাসা এমন একটা ব্যতিক্রম ধর্মি মুক্ত আলোচনা হচ্ছে, আদিবাসী সহ সকল আন্ত লিঙ্গ, রুপান্তরকারি নারী/পরুষের জন্য নিরাপদ জায়গা তৈরি করছে জেনে ভাল লাগছে। এখন আমি বা আমরা জেনে গেছি এমন আন্তঃ লিঙ্গ বা লিঙ্গ বৈচিত্রময় জনগুস্থি কেও সাহায্যের জন্য আসলে আমরা কোথায় সাহায্যের জন্য পাঠাতে হবে। এমন মুক্ত আলোচনা হোক, সচেনতা বৃদ্ধির জন্য বেশি করে আয়োজন করা হোক। আফাসা মধ্যে যদি একশত জন সহায়তা গ্রহণকারী  থাকলেতারা হয়ত লিঙ্গ বিষমের লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা স্বীকার হয়ে আসছে, তাদের ছাড়া সমাজ হতে পারেনা’’