প্রকাশঃ ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৩:৫০:২১
| আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৬:২৯:২০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আজ ২৫ ডিসেম্বর খ্রিষ্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্র্মীয় উৎসব বড় দিন(ক্রিসমাস ডে)। সারা বিশ্বের খ্রিষ্টান সম্প্রদায়ের মতো রাঙামাটির খ্রিষ্ট ধর্মের মানুষেরাও উৎসব মুখর পরিবেশে বিভিন্ন ধর্মীয় আচার, প্রার্থনা ও আনন্দ-উৎসবের মাধ্যমে দিনটি উদ্যাপন করছেন।
বড়দিন উপলক্ষে রাঙামাটির গির্জা গুলো সাজানো হয়েছে নানা রঙের বাতিতে । এসব বাতির আলোকসজ্জায় উৎসব আরও রঙিন হয়ে উঠেছে। বড়দিন উপলক্ষে জেলার সকল গির্জাকেই সাজানো হয়েছে বর্ণিলভাবে । বিভিন্ন স্থানে টাঙানো হয়েছে বাইবেলের বাণীতে।
রাঙামাটির আসামবস্তি নির্মলা মারিয়া গীর্জা,কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টিক চার্চ,বিলাইছড়ি পাংখোয়া পাড়া গীর্জায় আজ সকাল থেকেই শুরু হয় সমবেত প্রার্থনা ও ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান।
কাপ্তাই চন্দ্রঘোনা ব্যাপ্টস্ট চার্চে অনুষ্ঠিত বড়দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি জেলা বিএনপির সভাপতি দীপন তালুকদার দীপু, জেলা সিভিল সার্জন ডা: নূয়েন খীসা, চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক প্রবীর খেয়াং, চট্টগ্রাম, পার্বত্য চট্টগ্রাম খ্রিস্টান চার্চের সভাপতি বিপ্লব মারমাসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।
অন্যদিকে জেলার বিলাইছড়ি পাংখোয়া পাড়ায় অনুষ্ঠিত খ্রিস্টানদের বড়দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কাজল তালুকদার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য রেমলিয়ানা পাংখোয়াসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ।
বড়দিন উপলক্ষে জেলার প্রতিটি গীর্জাগুলোকে ফুল দিয়ে আকর্ষনীয় নানান রঙে সাজাঁনোসহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে।
গীর্জায় গীর্জায় ক্রিসমাস ট্রি, ধর্মীয় প্রার্থনা, বাইবেল পাঠ, যিশুর জন্মের সে গোশালাও তৈরি করা হয়েছে।
জেলার কাপ্তাই উপজেলাধীন চন্দ্রঘোনা খ্রিস্টিয়ান হাসপাতালের পরিচালক প্রবীর খেয়াং জানান, অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে উৎসব মুখরভাবে রাঙামাটি জেলার বিভিন্ন স্থানে বড় দিন উদযাপিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ও বিশ্বের সকল মানুষের মাঝে শান্তি বিরাজ করুক, পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় হোক এমনটাই প্রত্যাশা করেছেন তিনি।
রাঙামাটি বন্ধু যীশু টিলা, কাপ্তাই, বিলাইছড়িসহ শহরের প্রতিটি গীর্জায় বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটি প্রতিটি চার্চে প্রার্থনা,ধর্মীয় দেশনা প্রদান এবং ধর্মীয় কীর্তনে অংশ নেয় বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা পূর্ণার্থীরা। ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ অতিথিদের নিয়ে বড় দিনের কেক কাটেন খ্রিস্টান ধর্মালম্বীরা।