রাঙামাটিতে পাহাড়ের জুমে উৎপাদিত কৃষি পণ্যের প্রদর্শনী

প্রকাশঃ ২৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৫:২৫:১৬ | আপডেটঃ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১২:৩৬:২০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে  পাহাড়ের জুমে উৎপাদিত কৃষি পন্যের প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে রাঙামাটিতে দিনব্যাপী পাহাড়ের  জুমের উৎপাদিত কৃষি পণ্যের মেলা ও উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে রাঙামাটি শহরের নিউ মার্কেট এলাকায় আশিকা কনভেনশন হলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা প্রোগ্রেসিভ এর আয়োজনে দিন ব্যাপী এই মেলার  আয়োজন করা হয়।

দিনব্যাপী এই মেলায় পাহাড়ে জুমে উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল, বিভিন্ন প্রকার জুমের চাল , সবজি, তিল, আলু, ফল, প্রদর্শন করা হয়েছে। পাশাপাশি জুমিয়াদের ব্যবহার্য বিভিন্ন জিনিসপত্র প্রদর্শন করা হয়। এই মেলার মাধ্যমে দর্শনার্থীরা পাহাড়ে জুমচাষ, জুমের ফসল, জুমিয়াদের জীবনধারা, তাদের খাদ্যাভ্যাস সম্পর্কে ধারণা পাবে বলে মনে করছে আয়োজকরা।

মেলাটিতে জুমের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল, সবজি, সবজির বীজ ও জুমিয়াদের ব্যবহার্য পোশাক নিয়ে মোট ২০ টি স্টল সাজানো হয়েছে।

মেলায় ফিতা কেটে উদ্বোধন করেন রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আওয়ালীন খালেক।

পরে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এসময় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কৃষিবিদ পবন কুমার চাকমা, সিএইচটি উইমেন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের রাঙামাটি উপদেষ্টা সুম্মিতা চাকমা, প্রোগ্রেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা ও হেডম্যান শান্তি বিজয় চাকমা সহ পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের লোকজন উপস্থিত ছিলেন। 

দর্শনাথী অমিয় খীসা বলেন, এখানে জুমে উৎপাদিত বিভিন্ন সবজি বিক্রি ও প্রদর্শনী করা হচ্ছে দেখে ভালো খুব লাগতেছে। এগুলো সব পাহাড়ের জুমে প্রাকৃতিক ভাবে উৎপাদিত হওয়া একদম ফ্রেশ সবজি। আমি নিজেও বেশ কয়েকটি সবজি ও জিনিসপত্র কিনে নিয়েছি।

রিয়া চাকমা বলেন, এই সবজিগুলো আমাদের পাহাড়ের জুমে কোন কীটনাশক ঔষধ ছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশে উৎপাদন করে থাকি। এগুলো আমরা ঘরোয়াভাবে ও স্থানীয় বাজারে বেচা বিক্রি করে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারছি। 

সিএইচটি উইমেন এ্যাক্টিভিস্ট ফোরামের সদস্য নুকু চাকমা বলেন, নারীরাও এখন জুম,কৃষিতে অনন্য ভূমিকা রাখছে। জলবায়ূ পরিবর্তন এর ফলে এখন যেমন কৃষি উপযোগী হবে সেটাই করছে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর নারীরা।আর স্থানীয় কৃষি বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন প্রয়োজনীয় পরামর্শ। এর ফলে নারীরা সফলতার মুখ দেখছেন এবং অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছেন।


প্রোগ্রেসিভের নির্বাহী পরিচালক সুচরিতা চাকমা বলেন, পাহাড়ের নারীদের অর্থনৈতিক উন্নয়ন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ও পাহাড়ের জুমে উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল, সবজি গুলোর পরিচয় হওয়ায় জন্য আজকে আমাদের এই আয়োজন। এই আয়োজনে মাধ্যমে যারা জুমের উৎপাদিত বিভিন্ন ফসল,সবজি ও বীজ  রয়েছে সেগুলোর নাম সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং আমাদের তৃণমূল নারীরা এসব জুমে উৎপাদিত ফসল গুলো বিক্রি করে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী হবেন। এর পাশাপাশি সমাজে নারী উন্নয়নে আমাদের পিছিয়ে পড়া নারীরা এগ্রিয়ে আসবে।