রাঙামাটিতে ভারীবৃষ্টিপাত ও পাহাড় ধসে সড়কে ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি

প্রকাশঃ ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৯:৫১:২৬ | আপডেটঃ ০৮ অক্টোবর, ২০২৪ ০৯:০০:২৫

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। টানা ভারী বৃষ্টিপাতে ও পাহাড় ধসে পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতেসড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কগুলো মেরামত ও সড়ক রক্ষাকবচ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা।


রাঙামাটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) তথ্য মতে, পাহাড় ধসে জেলার বাঘাইছড়ি ও কাউখালী উপজেলায় ৬২ কিলোমিটার গ্রামীন সড়ক ৯ টি ব্রিজ-কালভার্ট ক্ষতি গ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫০ লাখ  টাকা।


অপরদিকে,রাঙামাটি সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের তথ্য মতে, রাঙামাটিতে টানা ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে রাঙামাটি- চট্টগ্রাম জাতীয় মহাসড়ক, রাঙামাটি - মানিকছড়ি - মহালছড়ি- খাগড়াছড়ি আঞ্চলিক সড়ক, বাঙ্গালহালিয়া- রাজস্থলী-ফারুয়া- বিলাইছড়ি- বরকল সড়ক, রাঙামাটি(ঘাগড়া)-চন্দ্রঘোনা-বাঙ্গালহালিয়া-বান্দরবান আঞ্চলিক মহাসড়ক ও বগাছড়ি- নানিয়ারচর- লংগদু জেলা সড়কসহ মোট পাঁচটি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়কগুলো মেরামত ও সড়ক রক্ষাকবচ কাজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৮ কোটি ৮০ লাখ  টাকা।


স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরে রাঙামাটির নিবার্হী প্রকৌশলী আহামদ শফি বলেন, পাহাড় ধসে রাঙামাটি জেলার এলজিইডি আওতায় বাঘাইছড়ি ও কাউখালির দুই উপজেলায় ৬২ কিলোমিটার গ্রামীন সড়ক ও ৯ টি ব্রিজ কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই সড়ক ও ব্রিজ কালভার্টগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে প্রায় ৫০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে।


সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের রাঙামাটি নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, রাঙামাটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাঁচটি সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এসব সড়ক মেরামতে প্রায় ৮ কোটি ৮০ লাখ টাকার ব্যয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। আপাতত স্থানীয় ব্যবস্থার মাধ্যমে এসব সড়কে যোগাযোগ সচল রাখা হয়েছে।


অন্যদিকে, টানা বৃষ্টিপাতে বিদ্যালয়ে পানি উঠায় ও বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হওয়ায়  রাঙামাটির চার উপজেলায় ২৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শ্রেনিপাঠদান বন্ধ রয়েছে। বিদ্যালয়গুলো মধ্যে রয়েছে বাঘাইছড়ি ২ টি, লংগদু ২০ টি, জুরাছড়ি ১টি ও বরকল ১টি।


রাঙামাটি জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হৃদকেশ শীল বলেন, জেলার চারটি উপজেলায় ২৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্যায় আশ্রয় কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার ও বিদ্যালয়ে পানি উঠায় ছাত্র-ছাত্রীরা বিদ্যালয়ে আসতে না পারার কারণে ক্লাস স্থগিত রয়েছে। তবে বিদ্যালয়ের ক্ষতিগ্রস্তের পরিমাণ এখনো   নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি কিছুটা সময় লাগবে।