পিসিসিপি লংগদু উপজেলা কমিটি গঠন

প্রকাশঃ ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০৩:০৫:৪৬ | আপডেটঃ ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৯:১২:৪৩

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) রাঙামাটি জেলা শাখার আওতাধীন লংগদু উপজেলা শাখার আংশিক কমিটি ঘোষণা উপলক্ষে ( সেপ্টেম্বর) রবিবার দুপুরে মাইনীমুখ ইউনিয়ন পরিষদ হল রুমে বার্ষিক সম্মেলন-২০২৪ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ লংগদু উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: মনির হোসেনের সভাপতিত্বে নং আটারকছাড়া ইউনিয়ন শাখার সভাপতি মোঃ সুমন তালুকদার এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রাঙামাটি জেলা সভাপতি মোঃ হাবিব আজম। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি কেন্দ্রীয় কমিটির  সাংগঠনিক সম্পাদক রাসেল মাহমুদ, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন পিসিসিপি লংগদু উপজেলা শাখার সাবেক সভাপতি মো: রকিব হোসেন, পিসিসিপি চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন প্রমুখ।

 

পিসিসিপি লংগদু উপজেলা বার্ষিক সম্মেলনে  সভাপতি মোঃ সুমন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ মনির হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ খালিদ রেজা এর নাম ঘোষনা করে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি লংগদু উপজেলা আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়। উক্ত আংশিক কমিটিকে আগামী এক মাসের ভিতর ৭১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়।

 

লংগদু উপজেলা বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোঃ হাবিব আজম বলেন, বিগত ৩৯ বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী চাকমা জনগোষ্ঠী পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট জনসংখ্যার ২৫% চাকমা জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার হার ৭৫% এবং সরকারি কোটা প্রাপ্তির হার ৬৫% অপর দিকে পার্বত্য চট্টগ্রামের অন্যান্য

১২টি ক্ষুদ্র-নৃ- গোষ্ঠীর মোট জনসংখ্যা পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট জনসংখ্যার শতকরা ২৪ ভাগ। চাকমা ব্যতীত অন্য সকল ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর গড় শিক্ষার হার মাত্র শতকরা ৪৫ ভাগ যা চাকমা সম্প্রদায়ের তুলনায় প্রায় অর্ধেক। একই ভাবে সরকারি কোটা সুবিধার মাত্র ৩৫% চাকমা ব্যতীত অন্যান্য সকল ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠী ভোগ করে যা সম্মিলিত ভাবে চাকমা সম্প্রদায়ের তুলনায় অর্ধেক। আবার সরকারি চাকুরির অধিকাংশ উচ্চপদে চাকমা সম্প্রদায়ের লোকজন আসীন রয়েছে। চাকমা ব্যতীত অন্যান্য ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষার হার তুলনামূলক ভাবে অত্যন্ত কম হওয়ায় এসব সম্প্রদায়ের লোকজন সাধারণত তৃতীয় চতুর্থ শ্রেণীর চাকুরিতে তুলনামূলক ভাবে অধিকসংখ্যায় বহাল রয়েছে। কারণে আর্থ- সামাজিক প্রতিটি ক্ষেত্রে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠীর বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মধ্যে চরম বৈষম্য বিরাজমান।


পার্বত্য চট্টগ্রামের বসবাসকারী বাঙালি জনগোষ্ঠীর অবস্থা আরও শোচনীয়। পার্বত্য চট্টগ্রামের মোট জনসংখ্যার ৫১% হলেও পার্বত্য এলাকায় বসবাসকারী বাঙালি জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষার হার মাত্র ২৩% যা বাংলাদেশের সর্বনিম্ন এবং সরকারির চাকরির ক্ষেত্রে পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী বাঙালিদের কোটা প্রাপ্তির হার শূণ্য শতাংশ।