সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বৈষম্য, সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজিমুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম গঠনের দাবিতে এবং রাষ্ট্র বিরোধী দেশী-বিদেশী সকল প্রকার ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে বান্দরবানে ছাত্র জনতার মহাসমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ।
সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সহ সকল ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙালিদের সাথে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যা অনুপাতে বন্টন করার দাবি জানানো হয়েছে।
শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকালে বান্দরবানে শহরের প্রেসক্লাব চত্বরে অনুষ্ঠিত মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের (পিসিএনপি) কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
সমাবেশে প্রধান অতিথি'র বক্তব্যে পিসিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান বলেন, মূলত আদিবাসী স্বীকৃতির নামে আলাদা রাষ্ট্র "জুম্মলেন্ড" প্রতিষ্ঠার স্বপ্নে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত কতিপয় উপজাতীয় ও দেশীয় কুচক্রী মহল। পার্বত্য চট্টগ্রামের প্রায় সকল উপজাতি সম্প্রদায় প্রতিবেশী ভারত, মিয়ানমার ও চীন থেকে অষ্টদশ শতকের দিকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করে বসবাস শুরু করে। অথচ আদিবাসী হতে হলে ভূমি সন্তান হতে হয় এবং হাজার বছরের ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধারণ করতে হয়।
সমাবেশে-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি, তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড সহ সকল ক্ষেত্রে পাহাড়ের বাঙালিদের সাথে বৈষম্য দূর করে জনসংখ্যা অনুপাতে বন্টন করার দাবি জানানো হয়েছে।
এর আগে বান্দরবান পৌরসভার সামনে থেকে কয়েকশ ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন করে মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের (পিসিএনপি) মহাসচিব আলমগীর কবির। এছাড়া বক্তব্য রাখেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের (পিসিএনপি) বান্দরবান জেলার সিনিয়র সহ-সভাপতি মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক মো. নাছির উদ্দিন, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি মো. আসিফ ইকবাল, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদের বান্দরবান জেলার সভানেত্রী রহিমা বেগম, খুরসিদা বেগম, মো. জসীম উদ্দিন, মোহাম্মদ কামরুজ্জামান, রুহুল আমিন সহ প্রমূখ।
সমাবেশের শেষে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সকল শহীদদের মাগফেরাত কামনা ও বন্যার্তদের জান মাল রক্ষায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।