মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কের ৩টি স্থানে পাহাড় ধস, ফের প্লাবিত বাঘাইছড়ি

প্রকাশঃ ২২ অগাস্ট, ২০২৪ ০৫:১৩:৫৩ | আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:২৭:৪২

সিএইচটি টুডে ডট কম, বাঘাইছড়ি (রাঙামাটি)। রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কের তিনটি স্থানে পৃথক ভাবে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। পরে সড়ক বিভাগের সহায়তায় পাঁচ ঘন্টার পরে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়েছে। 

 

 

বুধবার(২১ আগস্ট) সকালে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দিঘীনালা সড়কের তিনটি স্থানে চার কিলো, নয় কিলো চৌদ্দ কিলো এলাকায় পৃথক ভাবে সড়কের উপর এই পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে সড়ক বিভাগ মাটি সরিয়ে সড়কে যানচলাচল সচল করলেও গত মঙ্গলবার দুপুরে খাগড়াছড়ি দীঘিনালা উপজেলার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যাওয়ায় রাঙামাটির সাজেক সহ বাঘাইছড়ি লংগদু উপজেলা সঙ্গে সারাদেশে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।এতে সাজেকে বেড়াতে গিয়েও আটকা পড়েছে আড়াই শতাধিক পর্যটক।

 

 

সড়ক জনপথ অধিদপ্তরের খাগড়াছড়ি নির্বাহী প্রকৌশলী মাকসুদুর রহমান বলেন, সকালে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা সড়কে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সড়ক বিভাগের লোকজন পাঁচ ঘন্টা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে সড়কে যানচলাচল সচল করেছে।তবে দীঘিনালার কবাখালি সড়কের অংশ পানিতে ডুবে গিয়ে সাজেক বাঘাইছড়ির যানচলাচল বন্ধ রয়েছে। 

 

 

এদিকে, টানা এক সপ্তাহ ধরে ভারী বৃষ্টিপাতে কাচালং নদীর পানি বাড়ায়ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফের চার বারের মতো বাঘাইছড়ি উপজেলা বন্যায় প্লাবিত হয়ে বাঘাইছড়ি পৌরসভা ৮টি ইউনিয়নে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে প্রায় ২০হাজার মানুষ। 

 

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গতকাল মঙ্গলবার থেকে বাঘাইছড়ি উপজেলার মাচালং নদীর পানি বাড়ায় উপজেলা নিন্মাঞ্চলগুলোপ্লাবিত হতে শুরু করে। এতে উপজেলার সদর, বারোবিন্দু ঘাট, মাষ্টার পাড়া, লাইন্যাঘোনা, এফ ব্লক, পশ্চিম মুসলিম ব্লক, রুপকারী, পুরাতন মারিশ্যা, খেদারমারগ্রামসহ বাঘাইছড়ি টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রায় ২০ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে থেকে খোলা হয়েছে ৫৩টি আশ্রয় কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে ৪০ টি পরিবার।তবে বৃষ্টির কারণে বিদ্যুৎ মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় ইউনিয়নগুলোর পরিস্থিতি জানতে পারছেন না উপজেলা প্রশাসন। 

 

 

 

বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শিরীন আক্তার জানান, সাজেক সড়কের দীঘিনালার কবাখালি অংশের সড়ক ডুবে যাওয়ায় কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের কারণে যানচলাচল দীর্ঘক্ষণ বন্ধ ছিল অতঃপর খাগড়াছড়ি সড়ক জনপথ বিভাগের সহযোগিতায় যানচলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এছাড়াও সাজেকে আনুমানিক প্রায় আড়াই শতাধিক পর্যটক আটকা আছে।  বন্যা পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাচ্ছে।  পানিবন্দী মানুষ গতকাল রাত থেকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসতে শুরু করেছে। উপজেলায় প্রশাসন থেকে ৫৫টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।