প্রকাশঃ ১৯ অগাস্ট, ২০২৪ ০৭:৪৮:০১
| আপডেটঃ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৭:২৮:৪৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. সেলিনা আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমার পদত্যাগ দাবি জানিয়েছে বিশ^বিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, রোববার সকালে রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির জরুরি বৈঠক শেষে উপাচার্যের পদত্যাগ জানিয়েছে শিক্ষকরা। সাধারণ শিক্ষার্থীরা উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগ চাইলেও শিক্ষকরা চাইছেন কেবল উপাচার্যের পদত্যাগ। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের মধ্যেও মতবিরোধ দেখা দিয়েছে।
শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, রোববার সকালে বিশ^বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির প্রায় দুই ঘন্টার জরুরি বৈঠক শেষে শিক্ষকদের পক্ষ থেকে ঘোষণা আসে, রোববার সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে উপাচার্যকে সেলিনা আখতারকে উপাচার্য ও বিশ^বিদ্যালয়ের প্রকল্প পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় পদত্যাগ না করা পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ের সকল একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
এদিকে, রোববার সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ^বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদ মীর ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘রাবিপ্রবির উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য পদত্যাগ করা পর্যন্ত বিশ^বিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। বিশ^বিদ্যালয়ের সব বিভাগের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়ে এই দাবি জানাচ্ছে। ইতোমধ্যে বিশ^বিদ্যালয়ের প্রভোস্টগণ, প্রক্টরিয়াল বডি, রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করেছেন।’
এর আগে, শনিবার প্রক্টর ড. নিখিল চাকমা ও সহকারী প্রক্টর জি এম সাখাওয়াত হোসেন পদত্যাগ করেন। বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেন রাবিপ্রবির ছাত্রী হলের সহকারী প্রভোস্ট গৌরব চাকমা। তিনি রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, বিশ^বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. কাঞ্চন চাকমাকে রক্ষা করার জন্য কেবল উপাচার্যের পদত্যাগ চাইছেন। আমাদের দাবি দুর্নীতিগ্রস্ত পুরো প্রশাসনকে পদত্যাগ করতে হবে। অন্যথায় বিশ^বিদ্যালয়ের পরিবহন শাখা ব্যতিত সকল কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
যদিও বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) প্রফেসর ড. সেলিনা আখতার পুরো বিষযটিকে তার বিরুদ্ধে ‘ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করছেন। উপাচার্য সেলিনা আখতার বলেন, ‘আজকে (রোববার) শিক্ষকদের অনুষ্ঠিত একটা বৈঠক থেকে আমার বিরুদ্ধে আণীত বিভিন্ন অভিযোগের ব্যাখ্যা চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জেনেছি। পরে সিএসই বিভাগের শিক্ষকরা বিশ^বিদ্যালয়ের কতিপয় শিক্ষকসহ জোরপূর্বক অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকদের কাছ থেকে সাক্ষর নিয়ে আমার পতত্যাগ দাবি জানিয়েছে। যাদের থেকে জোর করে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে তাদের অনেকেই বিষয়টি আমাকে জানিয়েছে।’
তিনি দাবি করেন, ‘শিক্ষকদের একটি অংশ ভুয়া সনদ ব্যবহার দায়িত্ব হারানো সিএসই বিভাগের এক শিক্ষক ও প্রো-ভিসি কাঞ্চন চাকমাকে রক্ষার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে। আমার বক্তব্য হলো শিক্ষার্থীরা যদি আমার পদত্যাগ চান এবং উপর মহল থেকে যদি নির্দেশনা আছে আমি অবশ্যই পদত্যাগ করব।’
তবে উপাচার্যের মন্তব্যের বিষয়ে জানতে একাধিকবার কল দিয়েও রাবিপ্রবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি গৌরব চাকমার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।