রাঙামাটিতে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

প্রকাশঃ ২৮ জুলাই, ২০২৪ ০৭:২০:৩৪ | আপডেটঃ ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০৮:৫৫:৪৬

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল দুস্থদের মাঝে খাবার বিতরনের মধ্যে দিয়ে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

 

শনিবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিত্বে পুষ্পমাল্য অর্পণ নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

 

জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: শাওয়াল উদ্দিনের সভাপতিত্বে যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক রিটন বড়ুয়ার সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মুছা মাতব্বর।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবিসংবাদিত নেতৃত্বে দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রাম মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমরা রাজনৈতিক মুক্তি অর্জন করি। তাঁরই কন্যা শেখ হাসিনা এনে দিয়েছেন অর্থনৈতিক মুক্তি। প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার স্বপ্ন বাস্তবায়নে আমরা কাজ করে যাবো।

 

কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে মুম্মা মাতব্বর বলেন, 'স্বাধীন বাংলাদেশে ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড নজিরবিহীন এবং তা জনসাধারণের মনে  ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। বিএনপি-জামায়াত তার দোসররা কোনোভাবেই এর দায় এড়াতে পারে না। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীবাহিনী হত্যাযোজ্ঞ চালানোর গড়ীর চক্রান্ত নিয়ে মাঠে নেমেছিল।'

 

তিনি আরও বলেন, কোটা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জামায়ত-বিএনপি দেশব্যাপী অরাজকতা সহিংসতার সৃষ্টি করেছে। রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগ অঙ্গসংগঠন অত্যন্ত শক্তিশালী। তাই এই এলাকায় জামায়াত-বিএনপি কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে পারে নাই। আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ, ছাত্রলীগ একসাথে থেকে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করেছে। 

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ সম্পাদক মো. ছলিম উল্ল্যাহ (সলিম, জেলা মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি উদয়ন বড়ুয়া জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক নুর মোহাম্মদ কাজল, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাজাহান, জেলা যুব মহিলা লীগের রোকেয়া আকতার, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. রনি হোসেন প্রমুখ।

 

আলোচনা সভা শেষে স্বেচ্ছাসেবক লীগের ৩০ তম প্রতিষ্ঠা বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করা হয়। পরে কোটা আন্দোলনকে সামনে রেখে বিএনপি-জামায়াতের হামলায় নিহতদের স্মরণে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। পরে অসহায় দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়।