পার্বত্য অউপজাতি কোটা চালুর দাবিতে রাঙামাটিতে স্বারকলিপি প্রদান

প্রকাশঃ ২৫ জুলাই, ২০২৪ ১২:৩২:৫৪ | আপডেটঃ ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ০১:১৬:১৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সম্প্রতি প্রকাশিত গেজেটে পার্বত্য অঞ্চলের বাঙালীদের অনগ্রসর হিসাবে চিহিৃত করে পার্বত্য অউপজাতি (বাঙালী) কোটা চালুর দাবি জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ। পার্বত্য অউপজাতি কোটা চালুর দাবিতে সকালে সংগঠনটি জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করে।

এসময় রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান।এতে নেতৃত্ব দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ পিসিসিপি' কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ হাবীব আজম, পিসিসিপি রাঙামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাজুল ইসলাম তাজ। এসময়ে উপস্থিত ছিলেনরাঙামাটি সরকারি কলেজ শাখার সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহ রাঙামাটি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা।

 

স্মারকলিপিতে পিসিসিপি নেতৃবৃন্দ উল্লেখ করেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসকারী চরম অবহেলিত, পশ্চাৎপদ নিপীড়িত বাঙালি জনগোষ্ঠীকে যথাযথ কোটা সুবিধা দিতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে অন্যান্য বঞ্চিত পশ্চাৎপদ ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীসমূহকেও জনসংখ্যা অনুপাতে কোটা সুবিধা প্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হবে। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত স্থানীয় বাঙালি জনগোষ্ঠী ১৯৯১ সাল হতে গত প্রায় তিন যুগ ধরে অনগ্রসর কোটার আওতায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় পার্বত্য চট্টগ্রামের এই বৈষম্য, বঞ্চনা জুলুমের বিরুদ্ধে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদ (পিসিসিপি) এর দুই দফা দাবি নিম্নরুপঃ

 

১। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত অনগ্রসর বাঙালি জনগোষ্ঠীকে উচ্চ শিক্ষা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে সংবিধানের ১০৪ এবং ১০৭ অনুচ্ছেদের আলোকে অনগ্রসর কোটা সুবিধার অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।

 

২। পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত পাহাড়ি-বাঙালি সকল জাতীগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের মধ্যে অনগ্রসর জনগোষ্ঠী কোটা সুবিধা জনসংখ্যা অনুপাতে ভাগ করে দিতে হবে। জনসংখ্যা অনুপাতে পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য প্রদত্ত কোটা'কে পুনঃবন্টন করে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত বাঙালি ৫০ শতাংশ, চাকমা ২৪ শতাংশ, মারমা ১১ শতাংশ, ত্রিপুরা শতাংশ, ম্রো শতাংশ, তঞ্চঙ্গ্যা শতাংশ এবং অন্যান্য ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শতাংশ হারে নির্ধারণ করার জোর দাবি জানাচ্ছি।