রাঙামাটিতে ধর্ষনে দায়ে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদন্ড

প্রকাশঃ ২৯ মে, ২০২৪ ০৮:০৫:০২ | আপডেটঃ ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ১০:৩৭:৪৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে ৬ষ্ঠ শ্রেনি পড়ুয়া এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে  ধর্ষণের দায়ে একজন আমৃত্যু যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল।
সকালে রাঙামাটি জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ.ই. এম.ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।

দন্ডপ্রাপ্ত আসামী মো.মোজাম্মেল হক (৪০) পিতাঃ মৃত আতাউল হক,মাতা মর্তুজা বেগম, ঠিকানা-মনেয়াবাদ, সাতকানিয়া, চট্টগ্রাম। বর্তমানে রিজার্ভ বাজার, পুরান বস্তি, আব্দুল হকের ভাড়াটিয়া, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২১ মার্চ ২০১৮ সালে দুপুরে আনুমানিক ১২ টার সময় আসামী মোঃ মোজাম্মেল হকের ঘরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় আসামি ভিকটিমকে পেঁয়াজ কেটে দেওয়ার জন্য তার ঘরে ডেকে নিয়ে ভিকটিম আসামি ঘরে প্রবেশ করে আসামি দরজা বন্ধ করে দেয়। পরে ভিকটিম চিৎকার করলে তার মুখে কাপড় গুজে দিয়ে মাটিতে ফেলে ভিকটিমকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে না দেখতে পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে আসামির ঘরে এসে আসামিকে দরজা খুলতে বলে। পরে আসামি কোন সাড়া না দিলে আশেপাশে প্রতিবেশীরা এসে আসামির ঘরে দরজা লাথি মেরে খুলে দেখেন আসামি ভিকটিমকে ধর্ষন করছে। পরে ভিকটিমকে উদ্বার ও আসামিকে আটক করে রাঙামাটি সদর থানার পুলিশ তুলে দেওয়া হয় এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন  আইন,২০০০ এর ৯ (১) ধারায় অভিযোগ দায়ের করেন। এই মামলায় আসামিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।
কারাদন্ড ছাড়াও শিশুটির পরিবারকে ৯০ দিনের মধ্যে ১ লাখ ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে। ওই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধে ব্যর্থ হলে  আসামির স্থাবর, অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে নিলামের মাধ্যমে টাকা পরিশোধের ব্যবস্থা নিতে জেলা কালেক্টরকে দায়িত্ব দেওয়া হয়।

এবিষয়ে রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, আদালতে রায়ে আমরা সন্তুষ্ট হয়েছি এবং এই রায়ের মাধ্যমে সমাজে নারী জনিত অপরাধ কমে আসবে বলে আমি মনে করি।