কোয়ান্টাম আরোগ্য শালায় বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালন

প্রকাশঃ ২৩ মে, ২০২৪ ০১:২৫:৪৬ | আপডেটঃ ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ০১:৩১:০৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। ২১ মে (মঙ্গলবার) কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বান্দরবান লামার কোয়ান্টামমের আরোগ্যশালায় ৪র্থ বারের মতো পালিত হলো বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই মানুষের সমাগম শুরু হয় এ স্থানে। সকাল ৬টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ধ্যানের এই প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন কোয়ান্টামমের সকল স্তরের কর্মী, এলাকাবাসী এবং কোয়ান্টাম কসমো স্কুল ও কলেজের শিক্ষার্থীসহ দেড় হাজারের বেশি মানুষ।

মেডিটেশন দিবস উদযাপন উপলক্ষে দেশ বিদেশের উন্মুক্ত স্থানে লাখো মানুষ সমবেত হয়েছে। মেডিটেশনে আত্মনিনিমগ্ন হয়ে তারা ধ্যানের প্রতি তাদের আগ্রহ ও ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটান। গত বছরের ন্যায় এবছরেরও বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ ’।

বর্তমানে ধ্যানের বাণী ও সায়েন্টেফিক লাইফস্টাইলের বা সুস্থ জীবনাচারের বাণীর ছোঁয়া লেগেছে সমাজের সর্বত্র। বিশেষভাবে সচেতন মহলে। গবেষণা বলছে, আমাদের দেশে ৭০ শতাংশ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক ব্যাধি, যার মূল কারণ বলা হয় ভুল জীবনাচার। এ থেকে মুক্তি ও টোটাল ফিটনেসের জন্যে প্রয়োজন মেডিটেশন ও সুস্থ জীবনাচার অনুসরণ। কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে এই সুস্থ জীবনাচার অনুসরণ ও টোটাল ফিটনেসের প্রশিক্ষণ দিয়ে আসছে গত ৩২ বছর ধরে।

সার্বজনীনভাবে ২০২১ সালে প্রথমবার বিশ্ব মেডিটেশন দিবস পালনের পর গত ৩ বছরে ধ্যানের প্রতি সমাজের সকল স্তরে আকর্ষণ বেড়েছে। ২০২২ সালে আমাদের দেশের স্বাস্থ্য অধিদপ্তর মেডিটেশন সেবাকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে গ্রহণ করে। আর ২০২৩ সালে যোগ-মেডিটেশন শিক্ষা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশে পরিণত হয়।

আমাদের দেশে মেডিটেশন চর্চা এখন দিন দিন সার্বজনীন হচ্ছে। ধ্যানের এই সর্ব জনপ্রিয়তার নেপথ্য নায়ক হচ্ছেন বছরের পর বছর নীরবে নিবেদিত ধ্যান চর্চাকারীরা। বিশ্ব মেডিটেশন দিবসের এই শুভক্ষণে দেশ-বিদেশের সকল ধ্যানীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা গুরুজী শহীদ আল বোখারী মহাজাতক ও মহাপরিচালক মা-জী নাহার আল বোখারী।

উল্লেখ্য, বান্দরবান লামায় অবস্থিত কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সেন্টারকে বলা হয় কোয়ান্টামম। আর কোয়ান্টামমে আগত ধ্যানীদের সবচেয়ে পছন্দের স্থান হল আরোগ্যশালা। নাগরিক কোলাহলের বাইরে প্রকৃতির মাঝে এই নিরঞ্জন পরিবেশ পরিচিত ‘জোন অফ সাইলেন্স’ নামে। স্বর্ণা বাঁশ ও দেবকাঞ্চনে ঘেরা আরোগ্যশালার পাহাড়ের চূড়ায় রয়েছে হেক্সাগন আকৃতির একটি ধ্যানমঞ্চ। সকালে মেডিটেশনের পর বিভিন্ন বয়সের দেড় হাজারের বেশি মানুষ যখন একসাথে উচ্চারণ করলেন, ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’ এবং ‘আমরা ভালো ভাবব ভালো বলব , ভালো করব, ভালো থাকব ’ চারদিকে অনুরণিত হলো ইতিবাচকতার প্রত্যয়।