সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে মৌসুমের প্রথম কালবৈশাখীর তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রোববার ভোর ৫ টা থেকে কালবৈশাখীর ঝড়ো তাণ্ডবে রামগড়, মানিকছড়ি ও দীঘিনালায় সবচেয়ে বেশী ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া জেলা সদরসহ অন্যান্য উপজেলায় ঝড়ো হাওয়ায় গাছ পালা ভেঙ্গে পড়ার পাশাপাশি বসতবাড়ি ও ফলজ বাগানের ক্ষতি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, মৌসুমের প্রথম
কালবৈশাখীতে রামগড় বাজার, দারোগা
পাড়াসহ জালিয়াপাড়া-রামগড় সড়কে গাছ
উপড়ে পড়ে সড়কে যান
চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে
ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা সড়কে
পড়ে থাকা গাছ সরিয়ে
যান চলাচল স্বাভাবিক করেন। এ
ছাড়া রামগড়-জালিয়াপাড়া বৈদ্যুতিক
সঞ্চালন লাইনের খুঁটি ভেঙ্গে
এবং গাছের ডালপালা পড়ে
ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রামগড়ের
দারোগা পাড়ায়, ফেনীর কুল,
মহামুনী ও আশপাশের কয়েকটি
গ্রামে কালবৈশাখীর তাণ্ডবে অর্ধশতাধিক বসতবাড়ির ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রামগড়
ছাড়াও মানিকছড়ি, দীঘিনালায় কাল বৈশাখীতে ব্যাপক
ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রামগড়ের নাকাপা এলাকার বাসিন্দা
মো. সাইফুল জানান, ফজরের
আজানের পর পর বজ্রপাত
সহ বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টির
মধ্যে ঝড়ো হাওয়ায় গাছপালা
ভেঙ্গে পড়ে বাড়ির টিন
ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি অনেক
ঘর-বাড়ির টিনের চালা
উড়ে যায়। ফলবাগানের
অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কালবৈশাখীতে।
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম
কামাল জানান, রোববার ভোরের
কালবৈশাখীতে পৌর এলাকার অনেক
বসতবাড়ি ও বৈদ্যুতিক লাইন
ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলা
প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে
ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নে সংশ্লিষ্ট
ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা কাজ করছেন।
খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো.
সহিদুজ্জামান জানান, মৌসুমের প্রথম
কালবৈশাখীতে ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা প্রণয়নের কাজ
চলছে। আজ
বিকলের মধ্যে উপজেলা থেকে
এ তথ্য পেলে প্রকৃত
ক্ষতিগ্রস্তের সংখ্যা নির্ণয় করা
যাবে।