বান্দরবানে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ২১ মার্চ, ২০২৪ ১০:২০:১১ | আপডেটঃ ১৬ মে, ২০২৪ ০৫:৩২:৩৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নিরসন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ,বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ, মাদকাসক্তি নির্মূল এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে বান্দরবানে ওলামা-মাশায়েখ সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২১মার্চ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে বান্দরবান জেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সম্মেলন ও প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়।

ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বান্দরবান সদর উপজেলার সুপারভাইজার মো.জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চলনায় এসময় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক চাই থোয়াই হ্লা চৌধুরী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুনায়েদ জাহেদী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের খতীব আলাউদ্দিন ঈমামী, বাজার মসজিদের খতীব এহসানুল হক আল মঈন, জেলা সমাজ সেবা বিভাগের উপ-পরিচালক মিলটন মুহুরী, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা আতিয়া চৌধুরীসহ জেলা সদরের বিভিন্নস্থান থেকে আগত ওলামা এবং মাশায়েখবৃন্দরা।

প্রশিক্ষণ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো.সেলিম উদ্দিন। স্বাগত বক্তব্য প্রদানকালে তিনি বলেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সৃষ্টির পর থেকে দেশের কল্যাণে এবং জাতির সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। এই প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নিরসন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ,বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ, মাদকাসক্তি নির্মূল এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে বান্দরবানে ওলামা-মাশায়েখদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে আর তার মাধ্যমে সমাজে বিশৃঙ্খলা অনেকটাই কমে আসবে বলে প্রত্যাশা। এসময় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বান্দরবান জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো.সেলিম উদ্দিন প্রতিটি মসজিদের ইমামদের নামাজের সময় সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নিরসন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ ,বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রতিরোধ, মাদকাসক্তি নির্মূল এবং দুর্নীতি প্রতিরোধে আরো বেশি করে প্রচারের আহবান জানান এবং আগামী প্রজন্মকে সুস্থ করে গড়ে তুলতে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, এই ধরণের কর্মশালার মাধ্যমে ওলামা এবং মাশায়েখদের জ্ঞানের পরিধি আরো বৃদ্ধি পাবে এবং তারা যেখানে নামাজ পড়াবে এবং বিভিন্ন মিলাদ মাহফিল,ওয়াজ মাহফিলে বক্তব্য রাখবেন সেখানে এই বিষয়গুলো নিয়ে বেশি বেশি প্রচার করবে, আর তাতে সমাজের সবার মধ্যে আরো ভ্রাতৃত্ববোধ সৃষ্টি হবে এবং সমাজ থেকে দুর্নীতি অনেকটাই কমবে এবং সেই সাথে সন্ত্রাস ও উগ্রবাদ নিরসন হবে।