সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। দুইদিন বন্ধ রাখার পর খাগড়াছড়িতে সরকারি মূল্যের চেয়ে কেজিতে ৮৫ টাকা বেশী ধরে আজ থেকে গরুর মাংস বিক্রী শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খাগড়াছড়ি বাজারে গরু মাংস বেচাবিক্রী চলছে।
বাজার
ঘুরে
দেখা
যায়,
এতদিন
খাগড়াছড়িতে ৭
শ
টাকা
কেজিতে
গরুর
মাংস
বিক্রী
হলেও
সম্প্রতি সরকারি
ভাবে
৬
শ
৬৫
টাকা
মূল্য
নির্ধারণের পর
গত
দুইদিন
মাংস
বিক্রী
বন্ধ
রাখেন
ব্যবসায়ীরা। কিন্তু
আজ
প্রশাসনের কোন
অনুমতি
ছাড়ায়
বাজার
ব্যবসায়ী সমিতির
সিদ্ধান্তে হাড়
সহ
৭
শ
৫০
টাকা
কেজি
ধরে
মাংস
বিক্রী
শুরু
হয়েছে।
হাড়
ছাড়া
মাংস
বিক্রী
হচ্ছে
৮
শ
৫০
টাকায়।
সরকার
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে
বেশী
দামে
বিক্রী
করলেও
বৃহস্পতিবার দুপুর
পর্যন্ত স্থানীয় প্রশাসনের কোন
উদ্যোগ
চোখে
পড়েনি।
মাংস
ব্যবসায়ীদের দাবি,
স্থানীয় ভাবে
গরু
ক্রয়
করতে
গিয়ে
চাঁদা
ও
অন্যান্য খরচ
বেশি
লাগায়
৭
শ
টাকার
বেশী
খরচ
পড়ছে
কেজি
প্রতি।
কিন্তু
সরকারি
ভাবে
যে
মূল্য
নির্ধারণ করেছে
তাতে
বিক্রী
করা
অসম্ভব। ৭
শ
৫০
টাকা
কেজিতে
গরুর
মাংস
বিক্রী
করলেও
ক্রেতাদের কোন
অভিযোগ
নেই
দাবি
ব্যবসায়ীদের।
কনজুমার রাইটস
বাংলাদেশ (সিআরবি)
খাগড়াছড়ি শাখার
সাধারণ
সম্পাদক আব্দুর
রউফ
অভিযোগ
করেন,
সরকার
নির্ধারিত মূল্যে
খাগড়াছড়িতে ক্রেতারা কোন
পণ্য
পাচ্ছেনা। এ
বিষয়ে
স্থানীয় প্রশাসনের কোন
নজরদারী পরিলক্ষিত হচ্ছে
না।
দ্রুত
বাজার
মনিটরিং জোরদারের দাবি
জানান
তিনি।
অন্যদিকে, বাজার
ব্যবসায়ী সমিতির
সভাপতি
লিয়াকত
আলী
চৌধুরী
বলেন,
রমজান
শুরুর
আগ
থেকে
মাংস
ব্যবসায়ীরা দাম
বাড়ানোর জন্য
দাবি
করে
আসছিল।
আইনশৃঙ্খলা সভাসহ
সব
ফোরামে
আমরা
এর
বিরোধীতা করি।
এর
মাঝে
সরকারি
ভাবে
একটি
মূল্যও
নির্ধারণ হয়।
কিন্তু
এ
দরে
বিক্রী
না
করায়
কয়েকদিন মাংস
বিক্রী
বন্ধ
ছিল।
গতকাল
প্রশাসন থেকে
এ
বিষয়ে
ব্যবস্থা নিতে
বললে
মাংস
ব্যবসায়ীদের সাথে
বসে
৭
শ
৫০
টাকা
দর
নির্ধারণ করে
দেয়া
হয়।
সে
হিসেবে
গরুর
মাংস
বিক্রী
শুরু
হয়েছে।
সরকার
নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে
বেশী
কেন
মূল্য
নির্ধারণ করেছেন
এ
বিষয়ে
জানতে
চাইলে
তিনি
বলেন,
মাংস
ব্যবসায়ীরা দাবি
করেছেন
প্রতি
কেজি
মাংসে
তাদের
খরচ
৭
শ
টাকার
উপরে।
৭
শ
৫০
টাকা
কমে
মাংস
বিক্রীতে রাজি
না
হওয়ায়
বাজার
ব্যবস্থা সচল
রাখতে
তাতে
সম্মতি
দেয়া
হয়েছে।
এ
বিষয়ে
খাগড়াছড়ির জেলা
প্রশাসক মো.
সহিদুজ্জামান বলেন,
রমজানে
কোন
স্বার্থান্বেষী মহল
যেন
অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরী
করতে
না
পারে
সেদিকে
নজরদারী রয়েছে।
গরুর
মাংস
সহ
সব
পণ্যের
বাজার
নিয়ন্ত্রণে দ্রুত
ব্যবস্থা নেয়ার
আশ্বাস
দেন
তিনি।